আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০১৮
বর্তমান সরকারের গত ৯ বছরে পুলিশ বাহিনীতে ৯টি নতুন ইউনিট যুক্ত হয়েছে আর জনবল বেড়েছে ৭৫ হাজার। বাহিনীটিতে শিগগিরই আরো ৫০ হাজার জনবল নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি ইউনিট নামে আরো একটি ইউনিট ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেয়ে গেজেটের অপেক্ষায় আছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকেই শুরু হয় পুলিশকে ঢেলে সাজানোর কাজ। হাজারো সমস্যা জর্জরিত বাহিনীটিকে বদলে ফেলার লক্ষ্যে কাজ শুরু করে সরকার। তখন থেকেই বাহিনীর সদস্যদের আবাসন, যাতায়াত সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি সব ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাহিনীটির লোকবল বাড়ানোর ওপরও দেওয়া হয় বিশেষ গুরুত্ব। সদর দফতরের দেওয়া তথ্যমতে, ২০০৯ সালের শেষের দিকে যেখানে পুলিশের জনবল ছিল এক লাখ ২৪ হাজার বর্তমানে (২০১৮ সালে) তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৪ জনে। অর্থাৎ এ সময়ে বাহিনীটির লোকবল বেড়েছে প্রায় ৭৫ হাজার। তবে কিছুদিনের মধ্যে সেই সংখ্যা আরো বাড়ছে। বাহিনীতে ৫০ হাজার জনবল নিয়োগের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পুলিশের বিভিন্ন পদে প্রায় ৩৩ হাজার পদ সৃষ্টির কাজ শেষ করে এনেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাহিদার বিপরীতে ৫০ হাজার জনবলের মধ্যে প্রথম ধাপে চার হাজার ৭৭৮টি পদের অনুমোদনও দিয়েছে। সদর দফতর সূত্র জানিয়েছে, অনুমোদন পাওয়া পদগুলোর মধ্যে ১৫৬টি ক্যাডার (সহকারী পুলিশ সুপার) পদ এবং ৬৬৪ নন-ক্যাডার (পরিদর্শক, উপপরিদর্শক ও সার্জেন্ট) পদ রয়েছে। বাকি পদগুলো আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), গাজীপুর ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং ঢাকা রেঞ্জের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে রংপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশে। সেখানে দুই হাজার ৩৭০ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এদিকে দ্বিতীয় ধাপে ১২৯টি ক্যাডার পদ এবং এক হাজার ৮৭২টি নন-ক্যাডার পদসহ ৯ হাজার ৯০৬ পদ সৃষ্টির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। যার মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটনে থাকবে সাত হাজার ১৫১টি পদ। এর মধ্যে ক্যাডার পদে ৮৯, নন-ক্যাডার পদে এক হাজার ৩৩০ ও অন্যান্য পদে পাঁচ হাজার ৭৩২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া এই ধাপে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্যাডার পদে ১৮, নন ক্যাডার ২৫৫ ও অন্যান্য পদে এক হাজার ২১ জন, বরিশাল মেট্রোপলিটনে ক্যাডার পদে ১৩, নন-ক্যাডার ১৮৬ ও অন্যান্য পদে ৫০৫ জন এবং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশে ক্যাডার পদে ৯, নন-ক্যাডার ১০১ ও অন্যান্য পদে ৫৫০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সদর দফতরের তথ্যমতে, ৫০ হাজার জনবল নিয়োগ দিলে ৭৫০টি বিসিএস ক্যাডার, অতিরিক্ত আইজি ১১, ডিআইজি ২৮, অতিরিক্ত ডিআইজি ৪৫, পুলিশ সুপার (এসপি) ১৮২, অতিরিক্ত এসপি ৩৫১ ও ১৩৩টি এএসপি পদে নিয়োগ হবে। এ ছাড়া ইন্সপেক্টর দুই হাজার ৯৮৫, এসআই ৯ হাজার ১৭৭, সার্জেন্ট ৩৬৫, নিরস্ত্র এএসআই ৮ হাজার ২১২, সশস্ত্র এএসআই এক হাজার ৭৭১, এএসআই ৪৩৩, নায়েক ৯৭৬, কনস্টেবল ২১ হাজার ৩৪৫ এবং সিভিল কর্মচারীর তিন হাজার ৯৮৬টি পদে লোকবল নিয়োগ হবে। এ বিষয়ে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, জনসংখ্যার অনুপাতে দেশে পুলিশের সংখ্যা অনেক কম। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের জনবল অনেক বেশি। সে কারণেই বর্তমান সরকার সীমাবদ্ধ সম্পদের মধ্যেও দেশের আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করে যাচ্ছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে পুলিশ এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি বাহিনী। ফলে এই বাহিনীর সেবার মানও দিন দিন বাড়ছে। বাহিনীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), হাইওয়ে পুলিশ, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স ব্যাটালিয়ন (এসপিবিন), নৌ পুলিশ, শিল্প পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, অ্যান্টি-টেররিজম ইউনিট যুক্ত হয়েছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১