বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২২

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবাধে চলছে অনুমোদনহীন যানবাহন


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বীরদর্পে চলছে অনুমোদনহীন সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা এবং ইজিবাইক। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব অবৈধ যানবাহন মহাসড়কে নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। এতে করে অহরহ যানজটসহ ঘটছে নানান অপ্রীতিকর ঘটনা। কিছু মানুষের উপকার হলেও অধিকাংশ মানুষের জন্য ভোগান্তির কারণ এসব যানবাহন চলাচল রোধে সংশ্লিষ্টদের নেই কোন কার্যকরী পদক্ষেপ। হাইওয়ে পুলিশের সাথে লুকোচুরি খেলার মধ্য দিয়েই মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে অবৈধ এসব যানবাহন। এসব গণপরিবহনের অধিকাংশ বিআরটিএর অনুমোদিত না হওয়ায় চালকরাও লাইসেন্সপ্রাপ্ত নয়। অদক্ষ চালকের মাধ্যমে অবৈধ যানবাহনে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা সদরের চৌদ্দগ্রাম বাজার, পদুয়া, চিওড়া, বাতিসা ও মিয়াবাজারসহ মহাসড়কের পাশে আঞ্চলিক সড়ক গুলো থাকে এসব যানবাহনের দখলে। এতে করে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে যাত্রীদেরকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। মাঝে মধ্যে হাইওয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২/১ টি সিএনজি আটক করলেও জরিমানা দিয়ে বেরেিয় এসে আবারও সেগুলো মহাসড়কে দাবিয়ে বেড়ায়। আবার হাইওয়ে পুলিশের অভিযানের সংবাদ চালকদের সোর্স এর মাধ্যমে খবর পেয়েও সিএনজি চালকরা মহাসড়ক থেকে কিছুক্ষণের জন্য আঞ্চলিক সড়কে চলে যায়। তবে এসব সোর্সদের সাথে হাইওয়ে পুলিশের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক সিএনজি চালক জানান।

তারা বলেন, প্রতিদিন একজন সোর্স কে প্রতি সিএনজির জন্য ৫০ টাকা করে চালক দিয়ে থাকে। বিনিময়ে তারা পুলিশের অভিযানের আগাম তথ্য তাদেরকে মোবাইলে জানায়। হাইওয়ে পুলিশ টহলে বের হওয়ার আগেই সোর্সদেরকে জানিয়ে দেয়, তখন ওইসব সোর্সরা সাথে সাথে চালকদেরকে অবহিত করে বলে। আবার আটককৃত সিএনজি ছাড়িয়ে আনতেও হাইওয়ে পুলিশের সাথে দফারফা করে এসব সোর্স। চৌদ্দগ্রাম বাজারসহ মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে ২০ সোর্স রয়েছে বলে চালকরা জানান।

হাইওয়ে পুলিশের মিয়াবাজার থানার ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিষিদ্ধ এসব যানবাহন চলাচল করছে। আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি এবং আমাদের কোন সোর্স নাই বলে তিনি জানান।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হোসেন বলেন, এসব যানবাহন মহাসড়কে চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ। এ বিষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হাইওয়ে পুলিশ কে নির্দেশ দেওয়া হবে।

চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র জিএম মীর হোসেন মিরু বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে পৌরসভা থেকে কোন অটোরিকশা কে লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে এসব যানবাহন চলাচল রোধ করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তুলনামূলক ভাবে সবচেয়ে বেশি চৌদ্দগ্রাম অংশে নিষিদ্ধ এসব যানবাহন চলাচল করছে। রেজিষ্ট্রেশন বহির্ভূত ও মহাসড়কে নিষিদ্ধ এসব যানবাহন চলাচল রোধে সংশ্লিষ্টদের আরও সচেষ্ট হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন সচেতন মহল।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১