আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪
চৈত্রের বৃষ্টি কৃষিতে কোনও ক্ষতি ডেকে আনেনি। বরং গত ২৪ ঘণ্টায় যে মাত্রায় বৃষ্টি হয়েছে, তাতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধান ক্ষেতের জন্য ‘ভালো’ হয়েছে বলে মনে করছেন সরকারি কর্মকর্তারা। তবে তারা এও উল্লেখ করেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে এবং শিলা পড়লে আমের মুকুল ঝড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। রবিবার (২৪ মার্চ) বিকাল পর্যন্ত সারা দেশের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বাংলা ট্রিবিউনকে এসব কথা জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। দেশের বিভিন্ন এলাকার কৃষকের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও তথ্য পাওয়া গেছে। গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রবিবার (২৪ মার্চ) রাতে রাজধানীতেও শিলা বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর বাইরে শিলা বৃষ্টির তেমন কোনও খবর মেলেনি। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সিলেট এলাকার কয়েকজন কৃষক জানান, এই বৃষ্টি বোরো ধানের জন্য ভালো হয়েছে। হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা আবু জাফর মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘শনিবার রাতে হালকা বৃষ্টি হইসে। দুয়েকটা শিলাও পড়েছে। তবে এতে ধানক্ষেতের জন্য খুব উপকার হইসে।’ তবে অন্য একাধিক এলাকার কৃষকেরা জানাচ্ছেন, যেসব জমিতে সরিষা, পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে— সেসব জমিতে এই বৃষ্টি ক্ষতি ডেকে আনছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পাবনার পেঁয়াজ চাষী শাহীন আলম জানিয়েছেন, এখনও মাঠের সব পেঁয়াজ ওঠেনি। মাঠে অনেক পেঁয়াজ রয়ে গেছে। ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমেছে। এতে পেঁয়াজের ক্ষতি হচ্ছে। একইভাবে বলেছেন পাবনার অপর কৃষক আফজাল মিয়া। তিনি জানিয়েছেন, মাঠে সরিষা রয়েছে। সব ফসল এখনও ওঠেনি। বৃষ্টিতে এসব শস্যের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১