আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে একটি বাঁধ ভেঙে প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে এবং এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। এতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি মহাসংকটে পড়েছে। সূত্র: আল জাজিরা। সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে চারজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছিলেন। তবে পরের দিন সোমবার স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৬০ জনে পৌঁছেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে বার্ষাকালীন ভারী মৌসুমি বৃষ্টির কারণে পোর্ট অব সুদান শহরের উত্তর দিকের ‘আরবাত’ নামের একটি বাঁধ ভেঙে এ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে বহু হতাহতের পাশাপাশি অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, সুদানে বাঁধভাঙা প্রলয়ংকরী বন্যায় অন্তত ২০টি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এসব গ্রামের অন্তত ৫০ হাজার বসতবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদান শহরের পানির মূল উৎস হিসেবে পরিচিত ‘আরবাত’ বাঁধটি লোহিত সাগর সংলগ্ন। এর তীরবর্তী পোর্ট অব সুদান শহরটি বর্তমানে সুদানের প্রশাসনিক রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কারণ মূল রাজধানী খার্তুমে যুদ্ধ চলছে। সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গত বছরের এপ্রিল থেকে যুদ্ধ করছে। এতে বহু মানুষ এরই মধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সুদানে বেশ কয়েকটি বাঁধ রয়েছে, যার মধ্যে আরবাত অন্যতম। বন্যা মোকাবিলার প্রয়োজনেই বাঁধগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার বলেছে, জুন থেকে শুরু হওয়া বন্যায় সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সংবাদপত্র মেরদামীক জানিয়েছে, পাহাড়ে আশ্রয় নেওয়ার পর যারা আটকে পড়েছিল তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে বিমানবাহিনী। সুদানের পানি কর্তৃপক্ষের পরিচালক ওমর ইসা তাহির স্থানীয় সংবাদ সাইট আখবারকে বলেছেন, বন্যা ‘পুরো এলাকা নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে’। যুদ্ধকবলিত সুদানের আগে থেকেই মানবিক বিপর্যয় চলছিল। এর মধ্যে বন্যা এসে বিপর্যয় আরও প্রকট করেছে। খাদ্য সংকটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কলেরাসহ নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ–ব্যাধি।
গত জুন থেকেই সুদানে ভারী বৃষ্টি ও বন্যা হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম সমন্বয় দপ্তর (ওসিএইচএ) বলছে, বন্যায় সুদানের ১৬টির রাজ্যে প্রায় ৩ লাখ ১৭ হাজার মানুষ (৫৬ হাজার ৪৫০ পরিবার) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর দারফুর, নীল নদ ও পশ্চিম দারফুর রাজ্যের বাসিন্দারা।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১