Logo

মতামত

দৃষ্টিপাত

‘মঙ্গল’ ঝেড়ে ফেলে বর্ষবরণ শোভাযাত্রার ‘আনন্দ’ কাদের হলো?

মেহেদী হাসান শোয়েব

মেহেদী হাসান শোয়েব

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২১:৫৪

‘মঙ্গল’ ঝেড়ে ফেলে বর্ষবরণ শোভাযাত্রার ‘আনন্দ’ কাদের হলো?

বাংলা নববর্ষ মানে বাঙালির প্রাণের উৎসব। ১৪৩২ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখ সব বাঙালির জন্য ততখানি প্রাণের উৎসব হয়েছে কিনা তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। নানা সংকটের ভেতর দিয়ে চলতে থাকা দেশটাতে এবার পহেলা বৈশাখও নতুন নতুন বিতর্কের ভেতর দিয়ে উদযাপিত হলো। 

বর্ষবরণের ঐতিহ্য হয়ে ওঠা ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম বদলে এবার আয়োজন করা হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এ কি শুধুই নাম পরিবর্তন, না কি এর ভেতরে রয়েছে সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং আদর্শিক রূপান্তরের ইঙ্গিত? এ প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকেই।

বর্ষবরণের এই ‘শোভাযাত্রা’ শুরু হয়েছিল ১৯৮৯ সালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে। এরপর থেকে প্রতিবছর চারুকলার শিক্ষার্থীদের আয়োজনে প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সহোযোগিতায় পহেলা বৈশাখে ঢাকার শাহবাগ-রমনা এলাকায় এই শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। ১৯৮৯-তে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে এই শোভাযাত্রা ছিল এক প্রতীকী প্রতিবাদ—মঙ্গল কামনার মধ্যে দিয়ে এক প্রতিরোধের ভাষা। তখন এর নাম ছিল ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। 

এর আগে ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে চারুপীঠ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যশোরে প্রথমবারের মতো নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। পরবর্তীতে যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই ঢাকার চারুকলা থেকে শুরু হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা।

চারুকলা অনুষদের সাবেক ডিন ও শোভাযাত্রা শুরুর অন্যতম উদ্যোক্তা নিসার হোসেন ১৯৮৯ সালেই এখানে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি জানান, ১৯৮৫-৮৬ সালের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা। শিক্ষকেরা পেছনে ছিলেন, কিন্তু সব কাজ হয়েছে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে।

নিসার হোসেন বলেছেন, ‘ওই সময় এরশাদবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে। সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে আনার চেষ্টা করেছিল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। সবার প্রচেষ্টায় তখন এটি বৃহত্তর প্রচেষ্টা হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হলো। সেখানে দুটি বিষয় প্রাধান্য পেল। একটি হচ্ছে, আমাদের যে ঐতিহ্য আছে, সেটি তুলে ধরা। যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, একই সময় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থাকার কারণে সেটি একটি ভিন্ন মাত্রা পেল।’

১৯৯৬ সাল থেকে চারুকলার এই আয়োজনের নাম বদলে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ দেওয়া হয়। সেই সময়ের আয়োজকদের একজন কামাল পাশা চৌধুরী। তিনি জানান, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি যেদিন চূড়ান্ত করা হলো সেদিন চারুকলা ইন্সটিটিউটের (বর্তমান অনুষদ) শিক্ষক লাউঞ্জে সভা করা হয়েছিল। সভাটি ছিল শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা চারুকলার ছাত্র-ছাত্রীরা, শিক্ষকবৃন্দ এবং দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের জাতীয় পর্যায়ের প্রধান নেতৃবৃন্দ সমন্বয়ে।

ওয়াহিদুল হক ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম প্রস্তাব করলে ভাষা সৈনিক শিল্পী ইমদাদ হোসেন প্রস্তাবনার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী আব্দুল বাসেত, রফিকুন নবী, সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ, কামাল লোহানী, সৈয়দ হাসান ইমাম, লায়লা হাসান, সানজিদা খাতুন, রামেন্দু মজুমদার, আসাদুজ্জামান নূর, মফিদুল হক, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, আলী যাকের, মামুনুর রশীদ, গোলাম কুদ্দুছ, তারেক আনাম, তরুণ ঘোষ, সাইদুল হক জুইস, হাসান আরিফসহ অনেক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং চারুকলার উদ্যোক্তা শিক্ষার্থীরা। তারা সকলেই এক বাক্যে প্রস্তাব সমর্থন করেন।

২০১৬ সালে ইউনেস্কো একে ‘Mangal Shobhajatra on Pahela Baishakh’ নামে Intangible Cultural Heritage হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। অর্থাৎ, এটি কেবল একটি উৎসবই না এখন আর, —বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের পরিচয়ের সাংস্কৃতিক প্রতীকও বটে। 

নিসার হোসেনের মতে, ইউনেসকোর স্বীকৃতি দেওয়ার মূল কারণ যে এটা শুধু একটা সম্প্রদায়বিশেষের না, এটা গোটা দেশের মানুষের, সারা পৃথিবীর মানুষের। এখানে মানবতার বিরাট একটা ব্যাপার আছে।

তবে ২০২৪ সালের নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে ক্ষমতার রদবদলের হাওয়া এবার এসে পড়েছে জাতীয় উৎসবের ভাষাতেও। শোভাযাত্রাও এবার আবার ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ হয়ে পালিত হয়েছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বর্তমান ডিন অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের লোকজন এটাকে দখল করে নিয়েছিলো। তার ভাষ্য, মঙ্গল শোভাযাত্রার ভেতরে দলীয় প্রতীক ঢুকে গিয়েছিল, তাই নতুন সরকার এই আয়োজনকে ‘আওয়ামী মুক্ত’ করতে চেয়েছে।

কিন্তু ঠিক এখানেই শুরু হয় বিতর্ক। ‘আওয়ামী মুক্ত’ করতে গিয়ে কি ঐতিহ্যকেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিবেচনায় বদলে ফেলা হলো? প্রশ্ন উঠেছে—যে শোভাযাত্রা রাজনৈতিক দল নিরপেক্ষভাবে বাঙালি চেতনার প্রতীক হয়ে উঠেছিল, তাকেই কি আবার নতুন রাজনৈতিক কাঠামোর প্রভাবেই বদলে দেওয়া হলো?

চারুকলার ২৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এবারের আয়োজনে অংশ নেয়নি। শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘মঙ্গল শব্দটাই বাদ—এখন কি মঙ্গলবারের নামও পরিবর্তন করবেন? কী নাম রাখবেন—আনন্দবার?’ প্রতিক্রিয়া কৌতুকের আড়ালে তীব্র প্রতিবাদের ভাষা।

কামাল পাশা বলেছেন, নাম পাল্টে ফেলার অধিকার চারুকলা প্রশাসনের যেমন নেই তেমনি মন্ত্রণালয়ের বা কোনও রাজনৈতিক মহলেরও নেই। আর এই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র যদি প্রকৃত কোনও স্টেকহোল্ডার সন্ধান করতে হয় তবে তারা হলো এখনও জীবিত। এই শোভাযাত্রার উদ্যোক্তারা যারা শুরু থেকে শোভাযাত্রাটি আয়োজনের জন্য চারুকলাকেই সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে আসছে। নাম বা এর অন্য কোনও মৌলিক পরিবর্তনের বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হলে অন্তত তাদের সাথে একবার আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি।

তিনি উদ্যোক্তাদের একজন হিসাবে নাম পরিবর্তনের সম্পূর্ণ বিপক্ষে নিজের অবস্থান ঘোষণা করে বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ছাড়া অন্য যে কোনও নামের কোনও শোভাযাত্রা আমাদের সেই ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রা নয় বলে আমি মনে করছি।

এখন কেউ কেউ উদ্বিগ্ন ইউনেস্কোর স্বীকৃতি নিয়েও। যখন কোন সংস্কৃতির নামে, কাঠামোয় কিংবা ন্যারেটিভে মৌলিক পরিবর্তন আসে, ইউনেস্কো তার স্বীকৃতি পুনর্বিবেচনা করতে পারে। চারুকলার সাবেক ডিন নিসার হোসেন বলেছেন, ‘সরকারের দায়িত্ব হলো ঐতিহ্যকে রক্ষা করা। সেটি করা হচ্ছে না।’

যেহেতু ইউনেস্কোর স্বীকৃতিটি ‘Mangal Shobhajatra’ নামেই, তাই এই নাম ও কাঠামো পরিবর্তন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাংস্কৃতিকভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে। সরকার কিংবা আয়োজকদের পক্ষ থেকে ইউনেস্কোর সঙ্গে কোনো পূর্ব সমন্বয় বা পুনঃপ্রস্তাব পাঠানো হয়েছে কিনা, সে প্রশ্ন এখনো অনুত্তরিত।

‘মঙ্গল’ শব্দটি নিয়ে দেশের একশ্রেণির ধর্মীয় গোষ্ঠীর আপত্তি নতুন কিছু নয়। হেফাজতে ইসলাম থেকে শুরু করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ—বহুবার দাবি করেছে, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ হিন্দুয়ানি সংস্কৃতির অনুকরণ এবং ইসলামের পরিপন্থি। এমনকি প্রতিকৃতি তৈরি, মুখোশ পরিধান, প্রাণীর প্রতীক ব্যবহার ইত্যাদিকে ‘বিধর্মী আচার’ বলে চিহ্নিত করে আসছে তারা। এবারও তাদের নানারকম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ অব্যাহত ছিল।

২০২৩ সালে ৯ এপ্রিল একজন বাংলাদেশি আইনজীবী মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে আইনি নোটিশ দেন। তিনি মঙ্গল শব্দটি একটি ধর্মীয় সংশ্লিষ্ট শব্দ এবং পাখি, মাছসহ বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি প্রদর্শনের মাধ্যমে মুসলিম জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার দাবি করেন।

এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে—এই নাম পরিবর্তনের কি ধর্মীয় মৌলবাদের দাবি মেনে নেওয়ার মাধ্যমে একরকম সাংস্কৃতিক আপোষ নয়?

নাম বদলের ব্যাখ্যায় যেখানে ‘রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা’ বলা হচ্ছে, সেখানে কেউ কেউ এটিকে দেখছেন ‘সাংস্কৃতিক ক্লিনজিং’-এর সূক্ষ্ম রূপ হিসেবে।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী যদিও বলেছেন, ‘এটা বাংলাদেশের প্রাণের উৎসব—শুধু বাঙালির নয়।’ তার মতে, শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন কোনো চাপিয়ে দেওয়া নয়, বরং আগের নামটাই চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

চারুকলার ছিয়াশি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা প্রথম শোভাযাত্রা আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন। তাদের সঙ্গে কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে ছিলেন সাতাশি ব্যাচের নাজিব তারেক। নাম পরিবর্তনের ব্যাপারটিকে ‘হাস্যকর’ মন্তব্য করে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘একটি নাম যেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক পরিসরে যার পরিচিতি ঘটেছে, এখন সেই নামটা পরিবর্তনের প্রয়োজন কেন পড়লো?’

‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম পাল্টে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোও। 

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, এই পরিবর্তন বাংলাদেশের মুক্ত সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য অশনি সংকেত। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মশাল জ্বেলে যে শোভাযাত্রার শুরু হয়েছিল, তা পরে সকল ধর্ম, বর্ণ, জাতির মানুষদের একাত্মতায় পরিণত হয়—একটি ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু আজ সেই প্রতীকের নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে মৌলবাদী শক্তির আস্ফালনের সামনে নতিস্বীকার করে।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নও শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে এক বিবৃতিতে জানায়, এটি একেবারে স্পষ্টভাবে ‘ফ্যাসিস্ট সাম্প্রদায়িক মবের’ কাছে সরকারের আত্মসমর্পণ। ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজন সবসময়ই শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের সম্মিলিত উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে আসলেও এবার সেই ঐক্যবদ্ধতার ছাপ পাওয়া যায়নি। বরং শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের মতামত উপেক্ষা করে, বিভিন্ন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে—যার মধ্যে মোটিফ তৈরির বিষয়টিও রয়েছে। ছাত্র ইউনিয়নের ভাষায়, এটি শুধুই নাম পরিবর্তনের প্রশ্ন নয়, বরং সাংস্কৃতিক গণতন্ত্রের ওপর এক গভীর আঘাত।

‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থেকে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’তে রূপান্তর নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকেই এই নাম পরিবর্তনকে কেবল একটি সাংস্কৃতিক সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন না; বরং একে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, আপোষমূলক এবং মৌলবাদী চাপে নেয়া সিদ্ধান্ত হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন। 

শুরুর সময়ের আয়োজক থেকে আজকের দিনের প্রগতিশীল চিন্তার সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মন্তব্য থেকে এ কথা পরিষ্কার বোঝা যায় যে—নাম বদলে ‘মঙ্গল’ ঝেড়ে ফেলার অর্থ নিছক শব্দ পরিবর্তন নয়—এটি একরকম সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও আদর্শিক অবস্থান বদলের স্পষ্ট ইঙ্গিত। তাই প্রশ্ন তোলার যথেষ্টই সুযোগ রয়েছে, এই ‘আনন্দ’ শোভাযাত্রা নামে ফিরে কাদের ‘আনন্দ’ নিশ্চিত করা হলো? 

মেহেদী হাসান শোয়েব : লেখক, প্রকাশক, বিতার্কিক; শিফট ইনচার্জ, বাংলাদেশের খবর

  • বাংলাদেশের খবরের মতামত বিভাগে লেখা পাঠান এই মেইলে- bkeditorial247@gmail.com

এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর