Logo

অন্যান্য

ইতিহাসে একবারই এসেছিল ‘৩০ ফেব্রুয়ারি’

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৯

ইতিহাসে একবারই এসেছিল ‘৩০ ফেব্রুয়ারি’

বিশ্ব ইতিহাসে এমন একটি দিন রয়েছে, যা ক্যালেন্ডারের পাতায় একমাত্র একবারই দেখা গিয়েছিল—৩০ ফেব্রুয়ারি। এটি সুইডেনে ১৭১২ সালে যোগ করা হয়েছিল। তবে আজকের গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের জন্য এটি ছিল একটি অস্বাভাবিক ও বিশেষ ঘটনা। যা বিশ্ব ইতিহাসের এক অদ্ভুত অধ্যায় হয়ে রয়ে গেছে।

ফেব্রুয়ারি মাসে সাধারণত ২৮ বা ২৯ দিন থাকে, বিশেষ করে লিপ ইয়ারে (অধিবর্ষে)। তবে ১৭১২ সালে সুইডেনে একটি অস্বাভাবিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটি ছিল সুইডেনের ক্যালেন্ডারের সাথে সম্পর্কিত একটি বড় পরিবর্তনের অংশ। তখন সুইডেন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে স্যুইচ করার পরিকল্পনা করেছিল। সেটা রোমান ক্যাথলিক গির্জার দ্বারা ব্যবহৃত ছিল। কিন্তু দেশটি তখন এর জন্য প্রস্তুত ছিল না। এই কারণে ১৭১২ সালে ৩০ ফেব্রুয়ারি ক্যালেন্ডারে যোগ করা হয়।

১৭১২ সালের দিকে সুইডেনে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু এটি ধীরগতিতে শুরু হয়েছিল। সুইডেন তখন এক অদ্ভুত ক্যালেন্ডার ব্যবহারের মধ্যে ছিল। যা তার প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আলাদা ছিল। সুইডেনের আগে পুরোনো জুলিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহৃত হতো, তবে ১৬৫০ সাল থেকে তারা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এই পরিবর্তন পুরোপুরি কার্যকর করতে একটি বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।

এই পরিকল্পনায় সুইডেনকে তার ক্যালেন্ডার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সঠিক করার জন্য ৩০ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত দিন হিসেবে যোগ করা হয়।

৩০ ফেব্রুয়ারি যোগ করার ফলে ওই বছরের জন্য একটি বিরল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সুইডেনের নাগরিকরা সে সময় খুবই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিল। কারণ এটি ছিল একটি অস্বাভাবিক ও অপ্রত্যাশিত ঘটনা। ৩০ ফেব্রুয়ারি যদিও সঙ্গতিপূর্ণভাবে ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, কিন্তু এটি অত্যন্ত বিরল ও একবারের জন্যই ছিল।

১৭৫৩ সালে সুইডেন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে পুরোপুরি স্থানান্তরিত হয়ে যায়। এরপর থেকে পৃথিবীজুড়ে একই ক্যালেন্ডার ব্যবহৃত হতে শুরু হয়। ৩০ ফেব্রুয়ারি আর কখনোই ক্যালেন্ডারের অংশ হয়নি। তবে এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনাতে পরিণত হয়। যা আজও বিশ্বের ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে রয়েছে। সূত্র : বিবিসি

এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর