বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
সচিবালয়ের ৫৮৯ সিসি ক্যামেরাই ‘অন্ধ’
ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০০
বিএনপিতে ভিড়ছে আ.লীগ
বাংলাদেশের খবর পত্রিকার প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বিএনপির। দখল, হামলা ও মামলা বাণিজ্যের পর, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দলে ঠাঁই দেওয়ার অভিযোগ বিএনপির তৃণমূলে। যদিও দলের মহাসচিব বহুবার বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বলেছেন, যারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের বিএনপিতে নেওয়া হবে না। তারপর বিএনপিতে ঠাঁই পেয়েছেন আওয়ামী লীগ ও দলের বিভিন্ন শাখায় সক্রিয় নেতাকর্মীরা। এমনকি পুলিশের গাড়ি থেকে যুবলীগ নেতাকে বিএনপি নেতার ছাড়িয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। ফলে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে ফুরফুরে থাকা বিএনপিতে এখন অস্বস্তি বিরাজ করছে।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দেশীগ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাছেদ আলীকে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে তাড়াশ প্রেস ক্লাব চত্বরে কৃষক দলের ইউনিয়ন কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, তাড়াশ উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি গোপাল চন্দ্র, অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বাছেদ আলীকে দেশীগ্রাম ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি করেছেন। বাছেদ আলীর মতো এরকম অনেককে কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে। অথচ যারা ত্যাগী নেতাকর্মী, তাদের কমিটিতে ঠাঁই হয়নি।
সংসদ হবে দুই কক্ষের, মোট আসন ৫০৫
প্রথম আলো পত্রিকার প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, সংসদের নিম্নকক্ষে আসন থাকবে ৪০০, নির্বাচন হবে বর্তমান পদ্ধতিতে। এর মধ্যে ১০০ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তাঁরা নির্বাচিত হবেন সরাসরি ভোটে। আর উচ্চকক্ষে আসন থাকবে ১০৫টি। নির্বাচন হবে আনুপাতিক পদ্ধতিতে। সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে মোট আসন হবে ৫০৫টি।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র ঠেকাতে বা এক ব্যক্তির হাতে যাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত হয়ে না যায়, সে জন্য ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে বেশ কিছু সুপারিশ করবে এই কমিশন। পাশাপাশি বিদ্যমান সংবিধানের মূলনীতিতেও পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হবে। সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করে শেষ মুহূর্তের কাজ করছে। আগামীকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে।
সংবিধান সংস্কার কমিশন ছাড়াও নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন ও পুলিশ সংস্কার কমিশনও আগামীকাল প্রতিবেদন জমা দেবে। কমিশনগুলোর পক্ষ থেকে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রথম ধাপে গঠন করা ছয়টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে অন্য দুটি—বিচারব্যবস্থা ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চলতি মাসের শেষে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে।
‘ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স রেডি সাবধানে কথা বলো’
আমার দেশ পত্রিকার প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত ছিল, তা ঘটনার ক’দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যায়। যেসব অফিসার বেঁচে ফিরেছিলেন, তাদের পরিবারের সদস্য ও ৪৬ ব্রিগেডসহ অন্যান্য ব্রিগেডের যেসব অফিসার পরে রিকভারি অপারেশনে গিয়েছিলেন, তারা এসব বিষয়ে পরবর্তী সময়ে অনেক তথ্য প্রকাশ করেছেন। সেদিন সেনাকুঞ্জে শেখ হাসিনার সঙ্গে মিটিংয়েই একাধিক সিনিয়র অফিসার সংক্ষুব্ধ জুনিয়রদের ধমক দিয়ে চুপ থাকতে হুকুম দেন।
এ সময় হুমকি দিয়ে সংক্ষুব্ধদের উদ্দেশে বলা হয়, আক্রমণের জন্য ইন্ডিয়ান ফোর্স রেডি, সাবধানে কথা বলো। পিলখানা ম্যাসাকারের পর ভারত শেখ হাসিনাকে রেসকিউ মিশনের প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিল।
পরে ওইদিন সংক্ষুব্ধ সেনাদের কাউকে কাউকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়; আবার কাউকে দেওয়া হয় বাধ্যতামূলক অবসর। কাউকে কাউকে নির্যাতনও করা হয়েছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্যবাদ জেঁকে বসে, ৩৬ জুলাইয়ের পর আধিপত্যবাদের এ শৃঙ্খল ভেঙে গেছে।
সম্প্রতি আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আমার দেশ-এর সঙ্গে জুমে যুক্ত হয়ে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। যিনি মেজর জিয়াউল নামেই বেশি পরিচিত। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে তার নামটি উঠে আসে গণমাধ্যমে। ফ্যাসিবাদী সরকারের বয়ান ও আওয়ামী মিডিয়ার প্রচারণা অনুযায়ী জিয়াউল হলেন ‘দুর্ধর্ষ জঙ্গি’।
দেয়ালে পিঠ ব্যবসায়ীদের
বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, যতই দিন যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। তাঁরা বলছেন, দেয়ালে তাঁদের পিঠ ঠেকে গেছে। এ অবস্থা উত্তরণে তাঁরা বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের শরণাপন্ন হয়েছেন। দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসাবাণিজ্য গতিশীল করতে সঠিক কোনো নির্দেশনা পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। সে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের কাছে নয় দফা দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বলেছেন, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতিতে বিক্রি কমে গেছে, ঋণের উচ্চ সুদহারে বিনিয়োগ হচ্ছে না। চাহিদামতো ঋণপত্র (এলসি) খোলা যাচ্ছে না, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশে নেমে এসেছে। নতুন গ্যাস সংযোগে গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর সুপারিশে বিভিন্ন পণ্যের ওপর কর/মূসক বাড়ানো হয়েছে। ফলে বর্তমানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতি উত্তরণে ব্যবসায়ীরা ‘এক্সিট পলিসি’ চেয়েছেন গভর্নরের কাছে। এজন্য সার্কুলার জারি করার দাবিও জানান তারা।
বৃহৎ শিল্পের এক্সিটের জন্য ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে এক বছরের মনিটরিয়ামসহ ১২ বছর এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের এক্সিটের জন্য ১ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে এক বছরের মনিটরিয়ামসহ ১৫ বছর সময় চেয়েছেন। ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবসায়ীরা বন্ধকি সম্পত্তি বিক্রির অনুমতি চান গভর্নরের কাছে। রবিবার বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের কাছে এসব দাবি তুলে ধরেন।
বছরের মাঝামাঝিতেই নির্বাচন চায় বিএনপি
কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, এত দিন যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন করার দাবি জানিয়ে এলেও এখন বিএনপি স্পষ্ট করে বলছে, চলতি বছরের মাঝামাঝিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় তারা। দলটি মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতর থেকে একটি অংশ নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। তাই খুব শিগগির এই দাবিতে সোচ্চার হয়ে নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে মাঠের কর্মসূচিতে নামার পরিকল্পনা করছে দলটি।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্ষদ জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার পরিকল্পনা জানানোর পর বিএনপি গতকাল বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার উদ্যোগ ঠেকাতে এই কৌশল নিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা।
সচিবালয়ের ৫৮৯ সিসি ক্যামেরাই ‘অন্ধ’
সমকাল পত্রিকার প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক কার্যক্রমের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে গতিবিধি পর্যবেক্ষণে বসানো আছে ৬২৪ সিসি ক্যামেরা। পিলে চমকানো তথ্য হলো, এসব ক্যামেরার কেবল ৩৫টি এখন সচল। ৯৫টি অর্ধ-বিকল, বাদবাকি ৪৯৪টি পুরোপুরি অচল। সচিবালয়ের তিন ফটকে আছে চারটি ব্যাগেজ স্ক্যানার। এর সবটিই নষ্ট। এ ছাড়া ছয়টি আর্চওয়ের কোনোটাই কাজ করে না; সবই ‘মৃত’। খোদ সরকারি প্রতিবেদনেই উঠে এসেছে এমন ভয়ংকর ‘বিকল কাহিনি’। এসব নষ্ট সরঞ্জামের তালিকা সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ প্রতিবেদনে তুলে ধরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে টাকা বরাদ্দ চেয়েছে।
গেল ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লেগে ষষ্ঠ থেকে নবম তলায় থাকা পাঁচ মন্ত্রণালয়ের দপ্তর পুড়ে যায়। সরকারি ছুটির দিনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সচিবালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এখনও জনমনে প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। পাশাপাশি নানা কারণে সচিবালয়ে প্রবেশে কড়াকড়ি করেছে সরকার। এমন সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে সচিবালয়ের নিরাপত্তার দুর্দশার চিত্র সামনে এলো।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের শুরুতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৭৪টি ক্যামেরাসহ আরও কিছু সরঞ্জাম কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে এতে চার প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানই শর্ত পূরণ করতে না পারায় মূল্যায়ন কমিটি কাউকে যোগ্য মনে করেনি। ফলে গত ১৯ মে বাতিল হয়ে যায় সেই দরপত্র।
গ্যাস-বিদ্যুৎ খাতে অস্থিরতা
যুগান্তর পত্রিকার প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতে অস্থিরতা বাড়ছে। সরকারের নেতিবাচক সিদ্ধান্তে নানা শঙ্কায় ভুগছেন শিল্পমালিকরা। শিল্পকারখানা ও ক্যাপটিভে গ্যাসের নতুন সংযোগের দাম দ্বিগুণ করার পর এবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর তোড়জোড় চলছে। জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে, আমদানিকৃত এলএনজির খরচ যা পড়বে, সেই দর অনুযায়ী নতুন শিল্পকারখানার মালিকদের কাছ থেকে গ্যাসের দাম আদায় করা হবে। এ প্রক্রিয়ায় নতুন শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়তে পারে দ্বিগুণের বেশি।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী। এটি বাস্তবায়ন হলে ধ্বংস হয়ে যাবে দেশের শিল্প খাত। নতুন করে কেউ কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়তে চাইবে না। এক দেশে দুই আইন থাকলে শিল্প খাতে দেখা দেবে বিশৃঙ্খলা। এদিকে গ্যাসের দাম নিয়ে সমস্যার সমাধান না করে নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে পারে-এমন আরও একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার।
এমআই/এনজে