Logo

অন্যান্য

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

গুম হন নারীরা, রেহাই পায়নি কোলের শিশুও

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৪

মেডিকেলের ফল নিয়ে তোলপাড়

বাংলাদেশের খবরের প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর মেধা ও কোটা বিতর্কে তোলপাড় শুরু হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় ৪১ দশমিক ৬ নম্বর তুলে কোটার প্রার্থী ভর্তির সুযোগ পেলেও, মেধায় ৭১ নম্বর পেয়েও সুযোগ মেলেনি। এ অবস্থায় এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল করে নতুন করে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।


শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের ফলাফল স্থগিত করা হয়।

গতকাল মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় কোটা বাতিল করে আবার ফল প্রকাশের দাবিতে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটার মাধ্যমে আবারও মুজিববাদ ও শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে।

বাংলাদেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখনো কোটা রয়ে গেছে। অবিলম্বে এই কোটা প্রথা বাতিল করতে হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গতকাল বেলা ১১টায় এ কর্মসূ‌চি পালন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ কয়েকটি মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আর্থিক সংকটে বাড়ছে সাবলেট

বাংলাদেশের খবরের দ্বিতীয় প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে নাগরিক জীবন। রাজধানী ঢাকার জীবনযাত্রায় বিগত কয়েক বছরে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। বছরের শুরুতেই একগাদা খরচের চাপ আসে জগদ্দল পাথরের মতো। ক্যালেন্ডারের পাতায় বছরের যেমন একটি সংখ্যা যোগ হয়, নগরের বাসাভাড়ায়ও তেমন যোগ হয়।

বাড়তি খরচের চাপ সামলাতে ব্যর্থ হয়ে অনেকেই সাবলেট বেছে নেন। অথবা শহর থেকে একটু দূরে নেন ছোট বাসা। কেউ কেউ পরিবার পাঠিয়ে দেন গ্রামে। স্বস্তিতে নেই মেসে থাকা ব্যাচেলর কিংবা শিক্ষার্থীরাও। সব কিছুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাদেরও বাড়ছে মেসভাড়া, খাবারের খরচ। খাবারের মান কমিয়ে কেউ আবার সমন্বয় করছেন বাড়তি খরচ।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতবারের মতো এবারও বছরের শুরুতেই রাজধানীতে এলাকাভেদে এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বাসাভাড়া বাড়িয়েছেন মালিকরা। বাড়তি ভাড়া নতুন বছরের প্রথম মাস (জানুয়ারি) থেকেই পরিশোধ করতে হবে। এর সঙ্গে ক্রমবর্ধমান গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল তো আছেই।

আর নতুন ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া চাওয়া হচ্ছে আরও বেশি। এ নিয়ে মালিক-ভাড়াটিয়ার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও সমাধানের কোনো পথ দেখা যায়নি।

বাসা মালিকদের অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বাড়ছে। ভাড়াটিয়ারা বলছেন, দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় 'মানবিকতার' পরিচয় দেওয়া উচিত মালিকদের।

গুম হন নারীরা, রেহাই পায়নি কোলের শিশুও

প্রথম আলোর প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকের শাসনামলে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও গুমের শিকার হয়েছেন। কখনো কখনো মায়েদের সঙ্গে শিশুদেরও তুলে নিয়ে বন্দিশালায় আটকে রাখা হয়। বাদ যাননি অন্তঃসত্ত্বা নারীও। পুরুষ বন্দিকে মানসিক নির্যাতন করতে স্ত্রীকে আটকে রেখে কোলের সন্তানকে মায়ের দুধপান থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করা হয়েছে।

গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোর ভয়াবহ নির্যাতনের এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার গতকাল সোমবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ (সত্য উন্মোচন) শীর্ষক যে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছিল, তার অপ্রকাশিত অংশ গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে তদন্তের অগ্রগতি তুলে ধরে। বৈঠকের পর জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা শিগগির ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে যাবেন।

গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনে অন্তত চারজন নারীর গুমের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। এই নারীদের মধ্যে একজন এখনো ফিরে আসেননি। প্রতিবেদনে কমিশন জানিয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের কারণে নারীদের গুমের জন্য নিশানা করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজের অভিযোগে, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নারীদের তুলে নেওয়া হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই ও মনগড়া অভিযোগে তাঁদের তুলে নেওয়া হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারীদের চেয়ে পুরুষদের গুমের শিকার হওয়ার বেশি ঘটনা পাওয়া গেছে। তবে নারীরা গুমের শিকার হলেও সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে এ নিয়ে তারা মুখ খোলেননি। এরপরও গুমের শিকার কিছু নারী তাঁদের তুলে নেওয়া ও বন্দিশালায় আটকে রেখে নির্যাতনের অভিজ্ঞতা কমিশনের কাছে তুলে ধরেছেন।

৪৩তম বিসিএসেই শতাধিক ছাত্রলীগ ক্যাডার নিয়োগ

আমার দেশ পত্রিকার প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, অনির্বাণ সাহা ছিলেন ক্যাম্পাসের মূর্তিমান আতঙ্ক। ছিলেন সন্ত্রাসের দায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বুয়েট নজরুল ইসলাম হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর সশস্ত্র হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ৪৩তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) এর মাধ্যমে পররাষ্ট্র ক্যাডারে সহকারী সচিব হিসেবে গত ১৫ জানুয়ারি যোগদান করেছেন তিনি। তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৪০২৬২২১ এবং গেজেটের সিরিয়াল নম্বর-২৩।

মোস্তফা মনোয়ারও ছিলেন ছাত্রলীগের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সোহরাওয়ার্দী হল শাখার সহসভাপতি। ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকায় দুই বছর বহিষ্কৃতও ছিলেন। মোস্তফা মনোয়ারও বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারে সহকারী সচিব হিসেবে গত ১৫ জানুয়ারি যোগদান করেছেন। তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর হচ্ছে ১৩০১০৬০৩ এবং গেজেটের সিরিয়াল নম্বর-০৪।

হল ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। বুয়েটে ছাত্র নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বহিষ্কৃতও হয়েছিলেন তিনি। গত ১৫ জানুয়ারি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর-১৪০২৮০৮৭। অনিক ব্যানার্জি বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিও বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা মনোনীত হয়েছেন। তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১১১১৭২৫২।

শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী স্রোত

কালের কণ্ঠের প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা জ্যামিতিকভাবে বাড়লেও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের বিদেশে যাওয়ার আগ্রহ ব্যাপকভাবে বাড়ছে। গত ১০ বছরে বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। এর পেছনে অন্যতম কারণ বিদেশে উন্নতমানের জীবনযাত্রা, আধুনিক পড়াশোনা এবং শিক্ষার পাশাপাশি চাকরির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। এ ছাড়া বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো দেশে চাকরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয় বিদেশি ডিগ্রিকে। ফলে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী স্রোত বেড়েই চলছে।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, মানের দিক দিয়ে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া, কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা বিদেশমুখী হচ্ছে।

ইদানীং বিদেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানা ধরনের স্কলারশিপ আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের বিদেশিমুখী করছে।

ইউনেসকোর 'গ্লোবাল ফ্লো অব টারশিয়ারি লেভেল স্টুডেন্টস' প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫২ হাজার ৭৯৯ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য গেছে ৫৫টি দেশে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ১৫১ এবং ২০২১ সালে ছিল ৪৪ হাজার ৩৩৮। আর ২০১৩ সালে বিদেশে গিয়েছিল ২৪ হাজার ১১২ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ ১০ বছরের ব্যবধানে এই সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে; যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি বলে মনে করেন এসংক্রান্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

উপরের আদেশে বন্ধ তদন্ত

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে বলপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে ন্যায়বিচার এবং তাদের প্রয়োজনীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন বলে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান ও পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা বারবার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল; আইনি কর্তৃপক্ষ গুমের অভিযোগ তদন্ত বা সত্য উদঘাটনে সামান্যতম তৎপরতা দেখায়নি। অভিযোগ নথিভুক্ত করতে বা যথাযথ তদন্ত করতে অস্বীকার করেছে। 'উপরের আদেশ' উল্লেখ করে অভিযোগ তদন্তে তারা তাদের নিষ্ক্রিয় থাকার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরত।

গত রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে অন্তর্বর্তী রিপোর্ট তুলে দেয় কমিশনের সদস্যরা। ওই রিপোর্টের অংশ বিশেষ গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং প্রকাশ করে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকারকে ভিত্তি ধরে গুমকাণ্ডে জড়িত হিসেবে র‍্যাব ছাড়াও ঢাকার সিটিটিসি এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে কমিশনের আংশিক রিপোর্টে। এতে বলপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিদের মানসিক, সামাজিক এবং আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরে- তা পুনরুদ্ধারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে এ ধরনের মানবতাবিরোধী ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে 'প্রক্রিয়াগত সংস্কার' এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাপকভিত্তিক জরুরি সহায়তার সুপারিশ করা হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিধ্বংসী ছিল। বহু লোক তাদের জীবিকা হারিয়েছে। নিখোঁজ হওয়া এবং বন্দিত্বের পরে সমাজে পুনঃএকত্রিত হওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আইনি ব্যবস্থার ব্যয় সামাল দিতে গিয়ে অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছেন।

ভরপুর ফলনেও কাঁদছেন চাষি, পাশে নেই কেউ

সমকালের প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, ফসলের ভরপুর ফলনে চাষির ঘরে থাকার কথা আনন্দের দোল। সাদাচোখে এটাই সত্য! তবে এখন হিসাব বদলে গেছে। বাম্পার উৎপাদনেও কখনও- সখনও কৃষকের হৃদয় পোড়ে। এই যেমন বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলার কৃষক মাসুদুর রহমানের দুই চোখে বেদনার জল। তাঁর দুই একর জমিতে জম্পেশ ফলেছে ফুলকপি। শরীরের লবণপানি ঝরিয়ে উৎপাদিত ফুলকপি স্থানীয় মহাস্থান হাটে তোলার পর দাম শুনে মনে যে চোট পেলেন, তা সারার কোনো দাওয়াই নেই! শুধু ভেজা চোখে বললেন, 'বাড়িত গরু-ছাগল থাকলে তাদেরই খাওয়াতাম। উৎপাদন খরচ বাদ দিলাম, মাঠ থেকে হাট পর্যন্ত ফুলকপি আনতে কেজিতে যে খরচ হচ্চে, সেই ট্যাকাও পানো না।'

ঠাকুরগাঁওয়ের বর্গাচাষি আসাদুল হক ধারদেনা করে এ বছর ছয় একর জমিতে আগাম আলুর আবাদ করেছিলেন। নিজের পরিশ্রম বাদেও খরচ হয়েছিল ছয় লাখ টাকা। আলু বেচতে গিয়ে রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাকা! উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামও পকেটে তুলতে পারেননি আসাদুল।

জোরদার হচ্ছে ভ্যাট প্রত্যাহার দাবি

বাড়ছে জনগণের ভোগান্তি

যুগান্তরের প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত বাস্তবায়নে জনভোগান্তি বাড়ায় বিপাকে পড়েছে সরকার। এর প্রভাবে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। বাড়ছে ব্যবসা খরচ, টাকার মান কমে যাচ্ছে। ফলে মূল্যস্ফীতির চাপ না কমে বরং আরও বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির প্রভাবে ভোক্তার আয় কমায় পণ্যের বিক্রি কমে গেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শিল্প ও ব্যবসাবাণিজ্য খাতে। পাশাপাশি শিল্পের খরচ বেড়ে গেছে। শিল্প টিকিয়ে রাখাই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। 

পণ্যমূল্য বাড়ায় ভোক্তার ভোগান্তি বেড়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ীরাসহ সাধারণ জনগণ। তারা শিল্প, ব্যবসাবাণিজ্য রক্ষা এবং জনজীবনে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে আইএমএফের শর্ত থেকে বেরিয়ে এসে উদ্যোক্তা ও ভোক্তার অনুকূল পরিবেশ তৈরির দাবি করেছেন।

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের যেসব শর্ত সরকার বাস্তবায়ন করছে সেগুলো হচ্ছে-ঋণের সুদহার বৃদ্ধি, টাকার প্রবাহ হ্রাস, ডলারের দাম বৃদ্ধি, খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পদক্ষেপ, ভ্যাটের আওতা ও হার বৃদ্ধি, ভর্তুকি কমানো। এসবের জন্য জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন শুরু করেছে। এ আন্দোলন ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকার কিছু খাত থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা করছে বলে জানা গেছে।

এমআই

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর