Logo

অন্যান্য

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

মাস্টারমাইন্ড গভর্নর আতিউর

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৯

রাতের ভোটে জড়িতদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক 

বাংলাদেশের খবরের প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার আমলে দলীয় সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধমূলক অসদাচরণ, জাল-জালিয়াতি, দিনের ভোট রাতে করা এবং আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে' সংসদ সদস্য নির্বাচনে নমিনেশন সংগ্রহ ও অংশ নেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান। অপরদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অতিরিক্ত কর কমিশনার কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল ও স্ত্রীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক । এদের বিরুদ্ধে ১৭ কোটি ২১ লাখ ৯৪ হাজার ৩১৮ টাকার অর্জনের তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। 

একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুসন্ধান প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক বলেন, এ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য ৫ সদস্যের একটি দল গঠন করেছে দুদক। 

হয়রানিমূলক ধারা বাদ নতুন খসড়ায় 

প্রথম আলোর প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের নতুন একটি খসড়ায় সাইবার বুলিং–সংক্রান্ত অপরাধের ধারা বাদ দেওয়া হয়েছে। এই ধারা অন্তর্বর্তী সরকারের সময় যোগ করা হয়েছিল, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। 

নতুন সরকার যে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া করেছে, সেখানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে করা সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ছিল ব্যাপক বিতর্কিত, যেগুলো ব্যবহার করে হয়রানি করা হতো। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিতর্কিত ধারা বাদ দেওয়ায় মতপ্রকাশের কারণে হয়রানির সুযোগ কমবে। 

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ নিয়ে গতকাল বুধবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাদেশের খসড়ার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। এতে জানানো হয়, খসড়া গতকাল ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে। এরপর এটি নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনার পর আইনের খসড়াটি অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হবে।

তিন হাজার কোটি টাকার মনোপলি এশিয়াটিক গ্রুপের 

নূর-যাকের পরিবারের দখলে বিজ্ঞাপন বাজার 

আমার দেশ পত্রিকার প্রথম সংবাদে বলা হয়েছে, বছরে আনুমানিক চার হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপনী বাজারের ৮০ ভাগই দখলে রেখেছে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং প্রয়াত আলী যাকের পরিবারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিক গ্রুপ। শুধু একটি বা দুটি নয়, অন্তত ১৭টি ভিন্ন নাম ব্যবহার করে বিগত দেড় দশকে বিজ্ঞাপনের বাজারকে কুক্ষিগত করে রাখা হয়। বিজ্ঞাপনের এই বিশাল বাজার দখলে রেখে মূলত দেশের গণমাধ্যমগুলোকেই পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ আওয়ামী মালিকানাধীন এশিয়াটিক গ্রুপের বিরুদ্ধে। 

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনের বাজার এশিয়াটিকের দখলে রাখতে বহু বছর ধরেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করছেন এ দেশে নিয়োজিত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা। শেখ হাসিনার আমলে তারা কোনো কোনো বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে জোর করে ব্যবসা থেকে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ এসেছে আমার দেশ-এর হাতে।

মার্কিন সাহায্য স্থগিতে শঙ্কা 

কালের কণ্ঠের প্রধান খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈদেশিক সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্তে সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশে। গত সোমবার রাতে দ্বিতীয় দফায় শপথ নেওয়ার দিনই বিদেশে মার্কিন সহযোগিতা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। উন্নয়ন সহযোগীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের বিরূপ প্রভাব পড়বে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার বিভিন্ন প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়েও চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। 

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএসএআইডির ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র জোরালো বন্ধুত্ব বজায় রেখে আসছে। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত অংশীদার হিসেবে স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিও অভিন্ন স্বার্থ থেকে নির্ধারিত হয়।

ভোটে মিত্র খুঁজছে সবাই 

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান সংবাদে রয়েছে, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা না হলেও এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশেষ করে বড় দলগুলো নির্বাচনি জোট গড়ার লক্ষ্যে মিত্র খুঁজছে। দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। দেশের আরেক অন্যতম রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী ইসলামপন্থি দলগুলো নিয়ে বৃহত্তর নির্বাচনি ঐক্য গঠনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। থেমে নেই বাম দলগুলোও। তারা এক ছাতার নিচে আসার চেষ্টায় তৎপর রয়েছে। সব মিলিয়ে নির্বাচন সামনে রেখে শুরু হয়েছে মিত্র খোঁজার রাজনীতি। 

মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী দলগুলো এক প্ল্যাটফরমে আনতে চায় বিএনপি : সব কার্যক্রম এখন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে। যৌক্তিক সময়ে নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি মিত্রদল খোঁজার বিষয়টি জোরদার করছে বিএনপি। তারা বলছে, বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সমমনা দলগুলোর বর্তমানে কোনো জোট নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতন আন্দোলনে মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী সব দল নিয়ে আগামীতে জোটবদ্ধ নির্বাচন করতে চায়। এজন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সমমনা দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন। লিয়াজোঁ কমিটির মাধ্যমে অন্তত ৪০টি দল ও সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। অতীতে বিএনপির জোটবদ্ধ ছিল না কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায়ে রাজপথে সোচ্চার ছিল এমন দলের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচনে বিজয়ী হলে সমমনা দলগুলো নিয়ে ‘জাতীয় সরকার’ এবং ‘দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট’ গঠনের। সে প্রক্রিয়ায় গতকাল খেলাফত মজলিসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গাজীপুর-আশুলিয়ায় শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর, আগুন 

সমকালের প্রধান এ সংবাদে বলা হয়েছে, শ্রমিক অসন্তোষে গতকাল বুধবার ফের অশান্ত হয়ে ওঠে গাজীপুর ও সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দফায় দফায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কর্মহীন কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ শ্রমিক। লাঠিসোটা নিয়ে মহাসড়কে থাকা শতাধিক যানবাহনে গণভাঙচুর চালানো হয়। আগুন দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়িতে। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন তিন সংবাদকর্মী। মালভর্তি ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসও আগুন থেকে রক্ষা পায়নি। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এক পর্যায়ে শ্রমিকরা গাজীপুরের তেঁতুলবাড়ি এলাকায় গ্রামীণ ফেব্রিক্স অ্যান্ড ফ্যাশন লিমিটেডের কারখানার গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকে। পরে ওই কারখানায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। 

এদিকে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। দুর্ভোগে পড়েন ঘরমুখী হাজারো মানুষ। 

মূল্যস্ফীতির মধ্যে শুল্ক-কর বৃদ্ধিতে জনরোষের বার্তা 

সমকালের দ্বিতীয় প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, এমনিতেই মূল্যস্ফীতির গতি বলগাহীন। নিত্যপণ্যের দামের চাপে গজগজ করছে মানুষ। এর মধ্যে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর বাড়তি শুল্ক-কর বসিয়ে সরকার যেন ‘আগুনে ঘি ঢেলেছে’। এ সিদ্ধান্তে পণ্যের দরে প্রভাব পড়বে না বলে অর্থ উপদেষ্টা বারবার নির্ভয় দিলেও দামের ঘোড়া ঠিকই ছুটছে। শুল্ক-কর বাড়ানোর এ সিদ্ধান্তের ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে খোদ সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থাও জানিয়েছে, এর ফলে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিতে পারে অসন্তোষ। এই জনরোষ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল সরকারবিরোধী আন্দোলনের পথে হাঁটতে পারে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ প্রতিবেদনটি সম্প্রতি কয়েকজন উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো হয়। নানামুখী সমালোচনা ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গতকাল বুধবার ওষুধ, মোবাইল ফোন ও আইএসপি সেবা, রেস্তোরাঁ, নিজস্ব ব্র্যান্ডের পোশাকসহ কয়েক ক্ষেত্রে শুল্ক-কর পুনর্বিবেচনা করেছে সরকার। গত ৯ জানুয়ারি রাতে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ এবং দি এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করে এ শুল্ক-কর বাড়ায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর পর থেকেই সরকারের এ হঠকারী সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছেন অর্থনীতিবিদরা। 

‘বেটা সাধুবেশে পাকা চোর অতিশয়’ 

মাস্টারমাইন্ড গভর্নর আতিউর 

যুগান্তরের প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ১০১ মিলিয়ন ডলার লুটের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার ‘মাস্টারমাইন্ড’ তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তার নির্দেশনায় রিজার্ভ থেকে ওই অর্থ সরানোর পর এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ডাটা ও তথ্য মুছে ফেলার সব আয়োজন সম্পন্ন হয়। রিজার্ভ লুটের স্পর্শকাতর বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জেনে গেলে বোর্ডরুমে সবাইকে ডেকে সভা করে তাদের মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন ড. আতিউর। রিজার্ভ থেকে অন্তত ২ বিলিয়ন ডলার লুট করার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে সুইফটের সঙ্গে হঠাৎ করেই আরটিজিএস (রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট) কানেকশন স্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন ডেপুটি গভর্নর শুভংকর সাহার মধ্যস্থতায় হ্যাকিংয়ের প্রথম অধ্যায়ে আরটিজিএস প্রকল্প আনা হয়। হ্যাকারদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সুইফটের এক্সেস। পরিকল্পনামতো আরটিজিএস সংযোগ স্থাপনের জন্য ভারতীয় নাগরিক নীলা ভান্নানকে ভাড়া করে বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়ে আসেন আতিউর। তাকে এ কাজে সহায়তা করেন বেসরকারি দুটি ব্যাংকের এমডি। আরটিজিএস স্থাপনের পর নীলা ভান্নান বাংলাদেশ ব্যাংকের ইন্টারনেটের সঙ্গে সুইফটের সংযোগ স্থাপন করে দেন। এরপর ধাপে ধাপে শুরু হয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পর্ব।

হ্যাকিংয়ের ঘটনার পরপর আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট সার্ভার রুমে এসে কর্মকর্তাদের শাসিয়ে বলেন, ‘যদি তোমরা কেউ বলো যে হ্যাক হয়েছে, তোমাদের কারও চাকরি থাকবে না। সবাইকে বরখাস্ত করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এবিডি শাখার (অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড বাজেটিং) কর্মকর্তা বদরুল হককে হুমকি দিয়ে আতিউর বলেন, এই ঘটনা চেপে যেতে হবে। তিনি চাকরি রক্ষায় চুপ হয়ে যান। তিনি হ্যাকিং ঘটনার পরবর্তী পর্বে আতিউরের অপরাধনামার একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। আরেকজন সাক্ষী হলেন-তৎকালীন ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম। তিনি সুইফটের মাধ্যমে আরটিজিএস সংযোগ প্রদানের বিরোধিতা করেছিলেন। যে কারণে আরটিজিএস-এর ফাইল তার মাধ্যমে কানেকটিভিটিসংক্রান্ত অনুমোদন হওয়ার কথা থাকলেও গভর্নর আতিউর ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সেই ফাইলে নিজেই সই করে চূড়ান্ত অনুমোদন দেন। অথচ ড. আতিউর এতদিন একজন সজ্জন ও সুশীল হিসাবে দেশের সবার কাছে সুপরিচিত ছিলেন-এমন মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। তাদের মতে, ভদ্রলোকের মুখোশ পরে আতিউরের এমন ভয়াবহ অপকর্মের ঘটনা মনে করিয়ে দেয় রবিঠাকুরের ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার লাইন-‘বেটা সাধুবেশে পাকা চোর অতিশয়।’

এসবি/এনজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর