উসকানি দিয়ে দেশকে বিভক্তির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে : জাসদ
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০১
উসকানি দিয়ে দেশকে বিভক্তির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। দেশে এখন রাজনৈতিক শূন্যতা চলছে। মগের মুল্লুকের মতোই মবের মুল্লুক চলছে। ক্ষমতাসীনদের প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছে দেশ।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ৯০’র গণঅভ্যুত্থানে শহীদ জাসদ নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতার চেয়ার থেকেই গৃহযুদ্ধের ডাক দিচ্ছেন। তথাকথিত দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়ে, সাম্প্রদায়িকতার কার্ড খেলে দেশকে ভয়াবহ বিভাজন ও বিভক্তির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’
সভায় বক্তারা বলেন, ‘শহীদ ডা. মিলন, শহীদ শাজাহান সিরাজ, শহীদ মোজাম্মেল, শহীদ দীপালি সাহাসহ ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত সামরিক শাসনবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ৯০-এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। ক্ষমতাসীনরা রিসেট বাটন পুশ করে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানকে যতই মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাক না কেন, কোনো লাভ হবে না।’
দ্রুত সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য এবং রাজনৈতিক শূন্যতা, শাসন শূন্যতার অবসান করতে একটি প্রতিহিংসামুক্ত, পক্ষপাতমুক্ত, দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচিত সাংবিধানিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ন্যস্ত করার বিকল্প নেই।’
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘প্রহসনমূলক’ বিচার বন্ধের দাবি জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালকে প্রতিহিংসার হাতিয়ারে পরিণত করতে গায়ের জোরে আইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিচারের নামে প্রহসন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
বক্তারা জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ বন্দীদের মুক্তি দাবি করেন।
সকাল ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে 'ডা. মিলনের আত্মবলিদান: ৯০-এর গণ-অভ্যুত্থান' শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউদ্দিন মোল্লাহর সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোহসীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর্জা মো. আনোয়ারুল হক, কেন্দ্রীয় স্কপের অন্যতম নেতা ও জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা, জাতীয় যুব জোটের সভাপতি শরিফুল কবির স্বপন প্রমুখ।
এমজে