ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মানি না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর লেকশোর হোটেলের হলরুমে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ পাসের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, ‘আমরা এ আইন মানি না। আইন যেখানে পাস হয় সেই পার্লামেন্টেরই কোনো বৈধতা নেই। এই পার্লামেন্ট জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব করে না। এই আইন নিয়ে সরকার আলোচনাও করেনি। এই সরকার তো প্রতারক সরকার। কয়েক দিন আগেই সম্পাদকদের সঙ্গে বসে কথা দিলেন আলোচনা করে সংশোধন করব। তা করা হলো না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। জনগণকে জিম্মি করে কিছুদিনের জন্য ক্ষমতায় থাকা যায়। চিরদিনের জন্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় বলি, আশা ছেড়ো না। আমরা সংগ্রাম চালিয়ে যাব৷ জনগণের অধিকার ফিরিয়ে নিতে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আমরা সংগ্রাম চালিয়ে যাব। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় এই মতবিনিময় সভায় নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বাংলাদেশের খবরের উপদেষ্টা সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহউদ্দিন, ইনকিলাবের রেজাউর রহমান সোহাগ, মেহেদি হাসান পলাশ, ইনডিপেন্ডেট টেলিভিশনের আশীষ সৈকত, আমার দেশের সৈয়দ আবদাল আহমেদ, জাহেদ চৌধুরী, কলামনিস্ট হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, রেডিও টুডের ইমামুল হক শামীম, শীর্ষ নিউজের একরামুল হক, দৈনিক সমকালের লোটন একরাম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কাদের গনি চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের ইলিয়াস খান, এসএ টিভির ইলিয়াস হোসেন, ল‘ রিপোর্টার্স ফোরামের সাঈদ আহমেদ খান বক্তব্য রাখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন আহমেদও বক্তব্য রাখেন সভায়।
এছাড়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মো. নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, রুহুল আলম চৌধুরী, সাংঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন বক্তৃতা করেন।