• শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪২৮
গোলটেবিল বৈঠকে বিএনপিকে নিষিদ্ধের দাবি

রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তরা

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতি

গোলটেবিল বৈঠকে বিএনপিকে নিষিদ্ধের দাবি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ অক্টোবর ২০১৮

বিএনপি জন্মের শুরু থেকে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। একই সঙ্গে বিএনপি যে একটা সন্ত্রাসী সংগঠন এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। তাদের এদেশে রাজনীতি করার আর কোনো সুযোগ নেই। এখনই বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় : বিএনপির বৈধতা সঙ্কট’ শিরোনামের এ গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজন করে ‘সিটিজেন ফর রেসপনসিবল ডেমোক্র্যাসি’।

বক্তারা বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বাস করে না। বরং তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগকে বার বার সমূলে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দণ্ড হওয়ার মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক ও দলীয় সংশ্লিষ্টতা আবারো প্রমাণিত হয়েছে। এরপর এ দেশে বিএনপির রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার ও আইনগত বৈধতা থাকতে পারে না।

বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের চর হিসেবে অংশ নেন। বিভিন্নভাবে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সমর্থ হন। মুক্তিযোদ্ধারা ছিল তার চোখের বিষ। তিনি ধরে ধরে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের ফাঁসি দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় প্রত্যাখ্যান করে আমাদের হতাশ করেছেন। জাতির প্রত্যশা ছিল, বিএনপি ক্ষমা প্রার্থনা করে সুষ্ঠুধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে। কিন্তু তা না করে তারা মিথ্যাচারের রাজনীতিতেই থেকে গেলেন। কারণ ২১ আগস্টের হামলা ছিল কালেকটিভ প্রচেষ্টা। বিএনপি এটার দায় এড়াতে পারে না।

সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ২১ আগস্ট হামলার দিকে তাকালে দেখা যায়, এটা কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয়। আওয়ামী লীগ লিবারেল ও ডেমোক্র্যাটিক দল। আর অন্যরা বিএনপি, জামায়াত, বঙ্গবন্ধুর খুনি, জঙ্গি এই চারটা মিলে তৈরি নেক্সাস। এই নেক্সাস বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্যানসারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। যতদিন এদের সরানো যাবে না, ততদিন দেশের রাজনীতিতে সমস্যা থাকবে।

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, ২১ আগস্টে হামলা ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রের সন্ত্রাস। তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত। তাই বিএনপিকেও জবাবদিহির মধ্যে আনতে হবে। যারা এমন হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকে তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না।

ড. আশিকুর রহমানের সঞ্চালনায় গোলটেবিলে বৈঠকে আরো বক্তব্য  দেন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু, মঞ্জুরুল ইসলাম, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ব্যারিস্টার তৌকির আহমেদ, মানবাধিকার কর্মী খুশি কবীর, আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট নূরজাহান বেগম ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আলী শিকদার প্রমুখ।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads