রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে : চরমোনাই পীর
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৫১
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর বলেছেন, ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ব্যানারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমরা ন্যায়ের পক্ষে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথে নেমেছিলাম, কিন্তু এখন অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে। আমরা একটি সুন্দর দেশ গড়তে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে বারবার বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করে আসছি।’
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামে ‘ভারতের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য প্রতিরোধ, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান এবং বৈষম্যহীন কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চরমোনাই পীর বলেন, ‘রাজনীতি ইসলাম দেশ ও মানবতার কল্যাণের জন্য। বিগত দিনে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা নিজেদের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করেছে। আমরা ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণে রাজনীতি করি বলে কারো কোনো সহযোগিতা নিয়ে এমপি-মন্ত্রী হতে রাজি হইনি।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ না করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করা নিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হলে তা দেশবাসী মেনে নেবে না। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হলে তা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক।’ তিনি ইসলাম দেশ ও মানবতা রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
ইসলামী আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মুহাম্মাদ জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন, ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, হেফাজতে ইসলামের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম, নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফ উদ্দিন মাহদী, বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগরের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক ডা. এস এম সরোয়ার আলম, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. নাজিমুদ্দিন চৌধুরী, খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি খুরশিদ আলম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মাওলানা জাকারিয়া, গণঅধিকার পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, চট্টগ্রাম মহানগর নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি ফজলুল করীম জেহাদী প্রমুখ।
ডিআর/এমজে