মাঝেমধ্যে ছোটখাটো ঘটনা ঘটলেও বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এখানে কোনো উসকানি দিয়ে লাভ হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ শুক্রবার রাজধানীর লালবাগে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনের শুরুতে ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। এ দেশ সবার। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ থাকবে। কোনো শক্তি বাংলাদেশকে এ জায়গা থেকে সরাতে পারবে না। সবাই এখানে বাংলাদেশি।
সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ ঐক্যের ভিত্তিতে স্বাধীন হয়। এ দেশে সবার সমান অধিকার আছে। স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা আছেন, তারা যদি নিজ নিজ এলাকায় সজাগ থাকেন, তাহলে সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, উভয় দেশ শুধু ইতিহাস–সংস্কৃতিই ভাগাভাগি করে না, ধর্মনিরপেক্ষতা, পারস্পরিক সুযোগ-সুবিধাও ভাগাভাগি করে। বাংলাদেশকে ভারত সবসময় সমর্থন করেছে এবং করে যাবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের জায়গা দিন দিন আরও দৃঢ় হবে। তবে এখনও দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত কিছু সমস্যা রয়ে গেছে।
তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, তিস্তা নদীর পানির সমস্যা সমাধান করতে পারলে দুই দেশের জনগণই লাভবান হবে। দেশে অসাম্প্রদায়িকতা বজায় রাখতে প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদের মাঠে থাকার কথা বলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি। এতে বক্তব্য দেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক জে এল ভৌমিক, সদস্যসচিব চন্দ্রনাথ পোদ্দারসহ প্রমুখ। এ সম্মেলনের মাধ্যমে আগামীকাল কমিটি ঘোষণা করা হবে।