মাহমুদুর রহমানকে একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন : ছাত্রজোট

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৬
-67a6712cee7a1.jpg)
সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমানকে একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট ফুলবাড়ীতে উম্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের বিরুদ্ধে লাখো জনতার মিছিলে গুলিবর্ষণের ইন্ধনদাতা, তৎকালীন সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা, অবৈধ এশিয়া এনার্জির দালাল মাহমুদুর রহমানকে একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উম্মুক্ত কয়লাখনির বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ীর গণআন্দোলনে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৩ জন শহীদ হন এবং দুই শতাধিক স্থানীয় জনগণ আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেন। পরবর্তীতে তৎকালীন ফুলবাড়ীর স্থানীয় জনগণের প্রতিরোধ ও সারাদেশের সচেতন মানুষের সমর্থনের চাপে বিএনপি জোট সরকার ও রাষ্ট্রীয় বাহিনী পিছু হটে।’
তৎকালীন সরকার ফুলবাড়ীর জনগণের সাথে ৬ দফা চুক্তি করতে বাধ্য হয় উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গণআন্দোলনে এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের ইন্ধন নিঃসন্দেহে মানবতাবিরোধী এবং ফৌজদারী অপরাধ। মাহমুদুর রহমানের সে অপরাধের বিচার আজও হয়নি। উল্টো তাকে ‘সাংবাদিকতা এবং মানবাধিকার’ রক্ষায় একুশে পদক দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এটি জনগণের গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের সাথে প্রতারণা। একই সাথে এ সিদ্ধান্ত, একুশে পদকের যে মর্যাদা তাকেই ভূলন্ঠিত করবে।’
গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানের মনোনয়ন বাতিলসহ ফুলবাড়ি চুক্তির ৬ দফা বাস্তবায়ন ও ফুলবাড়ী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) তাওফিকা প্রিয়া।
ডিআর/এমজে