মাইকে ঘোষণা দিয়ে আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ৩০

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৪৯
-67b99d9e1d427.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শিরনি (তাবারক) বিতরণকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নে ঠাকুরভোগ গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকার বিএনপি নেতা নুর মিয়া ও আওয়ামী লীগ নেতা সুফি মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল।
উভয়পক্ষ তাদের আধিপত্য ধরে রাখতে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) গোষ্ঠীর লোকজনদের নিয়ে গ্রামে বৃষ্টির জন্য শিরনীর (তাবারক) আয়োজন করেন দুই পক্ষ। দু'পক্ষই মাইকে ঘোষণা করা হয় সকালে শিরনি বিতরণ করা হবে। পরে সকালে শিরনি বিতরণ করেন বিএনপি নেতা নূর মিয়া।
এসময় আওয়ামী লীগ নেতা সুফি মিয়া শিরনি বিতরণে অংশ নিতে গেলে বিএনপি নেতা নূর মিয়ার লোকজন বাঁধা দেয়। এতে পূর্ব বিরোধের জেরে দু‘পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।এসময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী হাওরের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, ‘এ ঘটনায় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আটক করেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করেছি। বৃষ্টি চেয়ে শিরনির আয়োজনকে কেন্দ্র করে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আব্দুল হালিম/এমআই