শায়খ আহমাদুল্লাহ
উল্লাসে মেতে ওঠেছে সিরিয়া। দেশটিতে আসাদ পরিবারের দীর্ঘ ৫৪ বছরের স্বৈরশাসনের সমাপ্তি ঘটেছে। বিদ্রোহীরা সিরিয়াকে ‘মুক্ত’ ঘোষণা করে বলছে, ‘অত্যাচারী’ প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পালিয়েছেন। রোববার (৮ ডিসেম্বর) হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস) টেলিগ্রামে বলেছে, সিরিয়ায় একটি অন্ধকার যুগের সমাপ্তি হয়েছে এবং নতুন যুগের সূচনা হলো।
বিশ্বজুড়ে আলোচিত আজকের এই সিরিয়ার প্রাচীন ও ঐতিহাসিক নাম ছিল ‘শাম’। আর ‘মুলকে শাম’ হল নবি-রাসুলদের ভূখণ্ড। মক্কা-মদিনার পরই এর মর্যাদা স্বীকৃত। কুরআন-হাদিসের বিভিন্ন জায়গায় মুলকে শামের পবিত্রতার বর্ণনা রয়েছে।
সিরিয়া সম্পর্কে জনপ্রিয় ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিওতে বলেছিলেন, `যুগে যুগে পৃথিবীতে যত নবি-রাসুল এসেছেন, তাঁদের সবচেয়ে বড় অংশ এসেছেনে সিরিয়ায় ( শাম দেশে)। এই সিরিয়াই হবে কেয়ামতের ময়দান। এখানেই সবাই সমবেত হবেন।'
তিনি বলেন, ‘একজন মুসলমানের কাছে মক্কা-মদিনার পরে তৃতীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্রতম ভূখণ্ড হলো সিরিয়া।’
প্রাচীন সিরিয়ার বিস্তৃতি অনেক বড় ছিল জানিয়ে আহমাদুল্লাহ বলেন, নবিজি (সা.) বলেছেন,'আমার উম্মতের মধ্য থেকে এটা বিশেষ দল থাকবে, যারা সত্যের পক্ষে লড়াই করতে থাকবে, আল্লাহর সাহায্য তাদের সঙ্গে থাকবে এবং কেয়ামত পর্যন্ত তারা এই লড়াইকে অব্যাহত রাখবে। তাদেরকে যারা অপদস্ত করতে চায়, ক্ষতি করতে চায়, তাদের কেউই তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।'
ইসলামি এই স্কলার বলেন, 'উল্লিখিত দলটি করা, তাদের অবস্থান কোথায় হবে— এ সম্পর্কে সহিহ বুখারিতে একাধিক সাহাবির মন্তব্য রয়েছে। তারা বলেছেন, উল্লিখিত দলটি সিরিয়ায় অবস্থানকারী হবেন এবং এটা কেয়ামতের ঠিক আগমুহূর্তে।'
দেশসেরা আলেম বলেন, নবিজি (সা.) প্রার্থনা করেছেন, ‘হে আল্লাহ আমাদের সিরিয়ায় আমাদের ইয়ামানে আপনি বরকত দান করুন।’ এ- প্রার্থনা করার পর উপস্থিত লোকেরা বললো, ইয়া রাসুলুল্লাহ, আমাদের নজদেও বরকত দানের জন্য দোয়া করুন। তখন নবিজি (সা.) তাদের কথার কর্ণপাত না করে আবার বললেন,‘হে আল্লাহ আমাদের সিরিয়ায় আমাদের ইয়ামানে আপনি বরকত দান করুন।’
লোকেরা দ্বিতীয়বার নজদের কথা বললে তখনো নবিজি একই দোয়া পুনরাবৃত্তি করলেন (হে আল্লাহ আমাদের সিরিয়ায় আমাদের ইয়ামানে আপনি বরকত দান করুন)। পরিশেষে তিনি (সা.) লোকদের বললেন, ‘নজদে তো হত্যা,খুনাখুনি হবে। ফেতনা-ফ্যাসাদ হবে। সেখানে ভূমিকম্প দেখা দেবে এবং সেখান থেকে শয়তানের আবির্ভাব ঘটবে।’
ডিআর/এটিআর