Logo
Logo

ধর্ম

‘আল্লাহু আল্লাহু’র জোশে ৯২-এর বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান!

Icon

ফাতেমা বিনতে আশরাফ

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:২২

‘আল্লাহু আল্লাহু’র জোশে ৯২-এর বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান!

৯২-এর বিশ্বকাপজয়ী দল ও ইনসেটে নুসরাত ফাতেহ আলি খান | ছবি : সংগৃহীত

১৯৯২ সালের বিশ্বকাপটি পাকিস্তানের জন্য ছিল বেশ ঘটনাবহুল। শুরুর দিকে ইমরান খানের দলটির অবস্থা ছিল বেহাল। প্রথম পাঁচ ম্যাচে স্রেফ একটিতে জিতেছিল তারা। বৃষ্টিতে ভাগ্য সহায়তায় পয়েন্ট পাওয়ার পর বদলে যায় দলটি। এরপর শেষের গল্পটি সবারই জানা, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান।

একটি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক কিছুরই প্রভাব থাকে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ‘আল্লাহু আল্লাহু’ এই পবিত্র নামের জোশ ও উদ্দীপনায়। অন্তত ওই টুর্নামেন্টে দলটির অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা ইমরান খান এমনটিই বিশ্বাস করেন।

একটি সাক্ষাৎকারে ১৯৯২-এর বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলেছিলেন, ৯২-এর বিশ্বকাপ জেতার পেছনে নুসরাত ফাতেহ আলি খানেরও অবদান আছে। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকের ম্যাচগুলোতে হারতে থাকে পাকিস্তান। আমিসহ দলের সবাই আপসেট। হোটেলরুমে নুসরাতের কাওয়ালি শুনছিলাম। যখনই তার ‘আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহ...’ কাওয়ালিটি শোনা শুরু করলাম, তখন থেকে আমার ভেতরে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসতে লাগল।’

ইমরান বলেন, পরের ম্যাচে নামার আগে আমি দলের সবাইকে নিয়ে ‘আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু’ কাওয়ালিটি শুনলাম। তারপর লক্ষ্য করলাম সবাই উজ্জীবিত ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছে। আমরা ফাইনালের দিনও গানটা শুনেই মাঠে নেমেছিলাম। আসলে তার কণ্ঠে এমন কিছু আছে, যা ব্যাখ্যাতীত, তার গান শুনে পাগল হবে না, এমন লোক দুনিয়ায় পাওয়া যাবে না।

ইমরান খানের এই কথার সত্যায়ন করেছেন পাকিস্তানের আরেকজন সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজা। তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট উর্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ৯২ বিশ্বকাপে ইমরান খানের যে শান্ত স্বভাব ও দৃঢ় সংকল্প দেখেছি, তা আগে কখনো দেখিনি। তার রুম থেকে নেট প্র্যাকটিস পর্যন্ত নুসরাত ফাতেহ আলি খানের কাওয়ালি বাজত। ইমরান খান তার কাওয়ালিতে এতটাই বিভোর ছিলেন যে, মনে হতো তিনি বিশ্বকাপ জিতেছেন।

রমিজ রাজা বলেন, এটা ঠিক এই বিশ্বকাপে নুসরাত বিশ্বব্যাপী বিশেষ খ্যাতি পেয়েছিলেন। আমরাও তার কাওয়ালি বেশ উপভোগ করছিলাম এবং তা শুনে শুনে পরবর্তী ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।

৯২ বিশ্বকাপে ‘আল্লাহু আল্লাহু’ শব্দের প্রভাব নিয়ে কথা বলেছেন স্বয়ং নুসরাত ফাতেহ আলিও। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিশ্বকাপ চলাকালীন আমি অস্ট্রেলিয়াতে ভিন্ন একটি শহরে ছিলাম। তখন পাকিস্তান প্রতিটি ম্যাচে হেরেই যাচ্ছিল। এ পরিস্থিতিতে আমি ফোনে দলের সঙ্গে কথা বলি। আমি তাদের কাছে জানতে চাই- হচ্ছেটা কী? 

নুসরাত ফাতেহ আলি খান বলেন, আমি অধিনায়ক এবং অন্য খেলোয়াড়দের বললাম যে, আমার জযবা ও উদ্দীপনা তোমাদের সঙ্গে আছে। এরপর আমি দু’টি স্পেশাল কাওয়ালি রেকর্ড করে তাদের কাছে পাঠাই। একটি ছিল ‘আল্লাহু আল্লাহু’ এবং অপরটি ‘ইস ক্যরম কা কারুঁ শুকর ক্যইছে আদা’। 

তিনি বলেন, পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়রা আমার এ দু’টি কাওয়ালি রাতদিন শুনত এবং এর জোশ ও উদ্দীপনাতেই তারা পরের ম্যাচগুলো জিততে শুরু করল।

বিএইচ/

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর