বুদ্ধিজীবী, পণ্ডিত ও জ্ঞানীরা ‘কলমসৈনিক’। ইসলামে তাঁদের অবস্থান অনেক সম্মানের। পবিত্র কুরআনের একাধিক আয়াতে বুদ্ধিজীবীদের প্রশংসা করা হয়েছে। সম্মানসূচক কথা রয়েছে হাদিসেও।
সুরা মুজাদালাতে রব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদেরকে উচ্চ মর্যাদা দেবেন। আর যা কিছু তোমরা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে পূর্ণ অবহিত।’
সুরা বাক্বারাতে ইরশাদ হয়েছে, ‘যাকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, তাকে প্রভূত কল্যাণ দান করা হয়েছে।’
ইসলামে নফল ইবাদতের চেয়েও জ্ঞানচর্চার গুরুত্ব বেশি। এক হাদিসে বলা হয়েছে, ‘আবেদগণের ওপর আলেমদের মর্যাদা পূর্ণিমায় তারকাগুলোর ওপর চাঁদের মর্যাদার অনুরূপ’ ( তিরমিজি)।
মহানবি (সা.) জ্ঞানীদের বিশেষ মূল্যায়ন করতেন। বদরযুদ্ধে যেসব অমুসলিম বুদ্ধিজীবী বন্দি হয়ে মুক্তিপণ দিতে পারেনি, তাদের এ শর্তে মুক্তি দিয়েছিলেন যে, তারা প্রত্যেকে ১০ জন মুসলমানকে আরবি ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ শেখাবেন।
এছাড়া মুসলমানদের জ্ঞান সাধনায় উদ্বুদ্ধ করে রাসুল (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘শিক্ষিত সম্প্রদায় (বুদ্ধিজীবী) নবির উত্তরাধিকারী।’
ডিআর/এটিআর