ছবি : সংগৃহীত
জুমার দিন হলো সপ্তাহের সর্বোত্তম দিন। এ দিনকে মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি বিশেষ দিন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জুমাবারকে মুসলমানদের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলেও আখ্যায়িত করা হয়েছে। নবিজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ জুমার দিনকে আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন বানিয়েছেন’ (ইবনে মাজা : ৯০৮)।
জুমাবারে এমন কিছু মুহূর্ত রয়েছে, যেগুলোতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলে তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হাদিসে এসব মুহূর্তের কথা বিভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে।
নিম্নে সংক্ষেপে কয়েকটি সময় তুলে ধরা হলো—
আছরের শেষ সময়
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, যখন আল্লাহর বান্দা তাঁর কাছে যা চায়, তিনি তা কবুল করেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা অনুসন্ধান কর’ (আবু দাউদ : ১০৪৮)।
বিখ্যাত সিরাতগ্রন্থ যাদুল মাআ’দ-এ বর্ণিত আছে, জুমার দিন আছরের নামাজ আদায়ের পর দোয়া কবুল হয় (যাদুল মাআ’দ : ২/৩৯৪)।
ইমাম মিম্বরে উঠা ও নামাজ শেষ হওয়া
আবু দারদা ইবনে আবু মুসা আশআরি (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি জুমার দিনের বিশেষ মুহূর্তটি সম্পর্কে বলেছেন, ইমামের মিম্বরে বসার সময় থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত সময়টিই সেই বিশেষ মুহূর্ত (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৯)।
বারো ঘণ্টার বিশেষ মুহূর্ত
‘জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোনো মুসলিম এ সময়ে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এ মুহূর্তটি তোমরা আসরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান কর’ (আবু দাউদ : ১০৪৮)।
এটিআর/