Logo

ধর্ম

এবার আরও বড় ভুল করলেন মাওলানা তারেক মনোয়ার

Icon

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:০৬

এবার আরও বড় ভুল করলেন মাওলানা তারেক মনোয়ার

ছবি : সংগৃহীত

নানা ‘গালগপ্প’ বলে এর আগেও একাধিকবার সমালোচনা হজম করেছেন দেশের আলোচিত বক্তা মাওলানা তারেক মনোয়ার। তবে এবার যেটি করলেন, তা পেছনের সবগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে; পবিত্র কোরআনের একটি শব্দের ‘অজ্ঞতাপূর্ণ’ অনুবাদ করেছেন তিনি।

শনিবার (২৪ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাওলানা তারেক মনোয়ারের বয়ানের একটি ভিডিওক্লিপ সামনে আসে। তাতে দেখা যায়- বয়ানের একপর্যায়ে সুরা বুরুজের ১২ নাম্বার আয়াতের একটি শব্দের ভুল অর্থ বলছেন তিনি।

বয়ানের ওই পর্যায়ে শ্রোতাদের উদ্দেশে একটি ইসলামি সংগীত নিয়ে আলোচনা করছিলেন মাওলানা মনোয়ার। ওই সংগীতটিতে বলা হয়েছে যে, ‘ত্রিভুবনের বাদশাহ হলেন কামলিওয়ালা রে।’ কামলিওয়ালা দ্বারা এখানে রাসুল (সা.)-কে বোঝানো হয়। 

মাওলানা তারেক মনোয়ার বলেন, ‘বাদশাহ’ শব্দটি আল্লাহর সঙ্গে খাছ ও বিশেষায়িত। সুতরাং সংগীতটি এভাবে হতে পারে- ‘ত্রিভুবনের বাদশাহ মালিক আল্লাহ তায়ালা রে।’ 

আরও পড়ুন- ৪ ইসরায়েলি জিম্মির বদলে মুক্তি পাচ্ছে ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দী

এরপরই তিনি কোরআনের আয়াতটি পড়েন- ‘ইন্না বাতশা রাব্বিকা লা-শাদিদ।’ এখানের ‘বাতশা’ শব্দটিকে তিনি বাংলায় ‘বাদশাহ’র স্থলাভিষিক্ত হিসেবে আখ্যা দেন। অথচ এটা খুবই অজ্ঞতাপূর্ণ অনুবাদ। 

‘বাতশা’ শব্দটির মূল অর্থ হলো- শাস্তি ও পাকড়াও। পুরো আয়াতের অর্থ দাঁড়াবে- ‘নিশ্চয়ই তোমার রবের শাস্তি (পাকড়াও) বড়ই কঠিন।’ 

তার মতো একজন বরেণ্য মানুষের মুখ থেকে কোরআনে কারিমের এমন অর্থ বর্ণনা শুনে থ বনে গেছেন ইসলামি অঙ্গনের অনেকে। মাওলানা আতাউল কারিম মাকসুদ নামের একজন আলেম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মাওলানা তারেক মনোয়ার সাহেবের ইলম ও পড়ালেখার এই দৈন্যদশা কেনো? আরবি بطش অর্থ শাস্তি, পাকড়াও৷ আর তিনি তরজমা করেছেন, বাদশাহ! কী হাস্যকর বিকৃতি৷’

মাওলানা তারেক মনোয়ারকে সম্মোধন করে তিনি আরও লেখেন, “মাওলানা, প্লিজ একটু পড়ালেখা করুন৷ বেসিক আরবি যোগ্যতা না থাকলে সময়ে সময়ে এভাবে লজ্জিত হতে হবে। ‘আল্লামা’ হওয়ার আগে অন্তত ‘মাওলানা’ হওয়ার চেষ্টা করুন। আল্লাহ তায়ালা তাওফিক দান করুন।”

  • বাংলাদেশের খবরের ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠান এই মেইলে- [email protected] 

বিএইচ/

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর