
বছর ঘুরে আবারো আমরা উপনীত হয়েছি একটি গুরুত্বপূর্ণ, ঐতিহাসিক ও নৈতিক সংশোধনের মাস মাহে রমজানে। যে মাসে নামাজ-রোজা, দান-সদকা, ইবাদত-বন্দেগি ভিন্ন মাত্রায়, বহু গুণ গুরুত্ব নিয়ে আমাদের জীবনে মূল্যায়িত হয়। কোরআন নাজিলের এই মাস সম্পর্কে আল্লাহ তালালা বলেন, ‘রমজান মাস, যে মাসে নাজিল করা হয়েছে আল–কোরআন, মানুষের জন্য হিদায়াত রূপে এবং পথনির্দেশনার প্রমাণ ও সত্য-মিথ্যা পার্থক্য নির্ণয়কারী হিসেবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৮৫)
ঘোষণা করা হয়েছে রমজান মাসে রহমতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। এরই সাথে রমজানে মুমিনের জন্য ক্ষমার ঘোষণা করা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখবে তার পূর্বের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯০১)
রমজানের অসংখ্য ফযিলতের মধ্যে একটি হলো- রোজাদারের সম্মানার্থে জান্নাতে ‘রাইয়ান’ নামে বিশেষ ফটক থাকবে। যেখান দিয়ে কেবল রোজাদারই প্রবেশ করবে। হাদিসে এসেছে—‘রোজাদারের দোয়া আল্লাহ তায়ালা ফিরিয়ে দেন না এবং রোজা কেয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে যেন তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। রমজানের প্রত্যেক রাতেই আল্লাহ তায়ালা মুমিন রোজাদারদের ক্ষমা করে দিতে থাকেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৯৮)
মুমিন বান্দা এই মাসের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকে। বারবার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করে। আমাদেরও উচিৎ রমজানের অপেক্ষা করা এবং পবিত্র এ মাসটি ইসলামি নির্দেশনা অনুযায়ী অতিবাহিত করা। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমীন
লেখকের মেইল: [email protected]
বিএইচ/