বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
এক টাকা আয় করতে আড়াই টাকা ব্যয়

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:০৯

যুদ্ধবিরতি ভেঙে তাণ্ডব
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, কেউ গভীর ঘুমে কেউবা সাহরির জন্য উঠেছেন; কারও মুখে ছিল সাহরির খাবার। এমন অবস্থায় মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজাবাসীর ওপর হামলে পড়ে দখলদার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। চলে উপর্যুপরি বিমান হামলা। ভয়াবহ এই হামলায় একদিনেই চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক।
হতাহতের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। বর্বর এই হামলার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শও করেছিল ইসরায়েল; খোদ হোয়াইট হাউস বিষয়টি জানিয়েছে। এ হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েলকে বিশ্বাস ঘাতক হিসেবে উল্লেখ করেছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
হাসপাতাল সূত্রের বরাতে প্রাণহানির সংখ্যা জানিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা লিখেছে, মঙ্গলবার ভোরে এ প্রণযাতী হামলা চালানো হয়, যাতে
মহাসড়কে প্রবাসীদের গাড়ি নিশানা করে ডাকাতি
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, প্রবাসীদের নিশানা করেই মহাসড়কে বেশি ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। যা সবচেয়ে বেশি ঘটছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। তার মধ্যে কুমিল্লায় সবচেয়ে বেশি ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।এছাড়া যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্র বলছে, সম্প্রতি একাধিক ডাকাতির ঘটনার পর মহাসড়কে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত এক হাজার ৪৪৩ ডাকাতের একটি তালিকা করেছে পুলিশ। সেই তালিকা ধরে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়েছে।
প্রবাসীদের গাড়ি 'টার্গেট' মহাসড়কগুলোতে যে ডাকাতির ঘটনাগুলো ঘটছে, তা বন্ধ করতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি প্রবাসী 'হেল্প ডেস্ক' চালুর উদ্যোগ নিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
তারা বলছে, বিমানবন্দর থেকে প্রবাসীর বাড়ি পৌঁছা পর্যন্ত ওই গাড়ি নজরদারির মধ্যে রাখা হবে অ্যাপের মাধ্যমে। মহাসড়কে ডাকাতি রোধে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহাসড়কে নিয়মিত টহলের বাইরে ৭০০ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
পড়াশোনায় পেছাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা, শিক্ষকদের আন্দোলন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনসহ নানা কারণে পড়াশোনা থেকে পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, সময়মতো বই দিতে না পারায় গত আড়াই মাসে সঠিকভাবে পড়াশোনা করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। বেসরকারি স্কুল-কলেজেও শিক্ষক সংকট প্রকট।
এতে চলতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতির আশঙ্কা করছেন শিক্ষাবিদরা। এদিকে, গত সাত মাসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ নানা দাবিতে আন্দোলন জোরদার হয়।
ভবন নির্মাণে শর্ত শিথিল হচ্ছে
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু জটিল শর্ত শিথিল করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রণীত ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) সংশোধনী চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সংশোধিত ড্যাপে সরকারি-বেসরকারি আবাসন, ব্লকভিত্তিক আবাসন, একত্রীভূত প্লটের মালিকদের কিছুটা ফ্লোর এরিয়া রেশিও (ফার) বাড়ানো হয়েছে। এতে আগের চেয়ে ভবনের প্রশস্ততা ও উচ্চতা বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে আগের তুলনায় বেশি উচ্চতার ভবন নির্মাণের সুবিধা পাবেন ভূমিমালিকরা। সব মিলিয়ে কম জায়গায় বেশি মানুষের আবাসনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সবকিছু ঠিক থাকলে যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে সরকার। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে বলে জানিয়েছে দৈনিকটি।
উল্লেখ্য, ঢাকা শহরের জন্য বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (২০২২-৩৫) বা ড্যাপ ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট অনুমোদিত হয়। পরের বছরে কোনো ধরনের কারিগরি সুপারিশ ছাড়াই তা সংশোধন করা হয়।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিদ্যমান ড্যাপকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ড্যাপ সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয় রাজউক।
খাদ্য আমদানি প্রয়োজন প্রায় ৮০ লাখ টন, হয়েছে ৪৮ লাখ
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে অন্তত ৬৮ লাখ টন গম আমদানির প্রয়োজন পড়বে বলে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়।
এ ছাড়া, পরপর দুটি বন্যায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দেশে চাল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ লাখ টন। সে হিসেবে রক্ষণশীলভাবে হিসাব করলেও চলতি অর্থবছরে সর্বমোট চাল ও গম আমদানির প্রয়োজন পড়ে ৮০ লাখ টনের বেশি।
তবে, গত ১৭ মার্চ পর্যন্ত দেশে খাদ্যশস্য দুটি আমদানির পরিমাণ ছিল ৪৮ লাখ টনের বেশি। এ অনুযায়ী অর্থবছরের বাকি তিন মাসে ৩২ লাখ টন অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে ১০ লাখ টনের বেশি খাদ্যশস্য আমদানি করতে হবে।
বন্যায় উৎপাদন হ্রাসের প্রেক্ষাপটে বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং খোলাবাজারে চাল বিক্রিসহ সরকারের খাদ্যভিত্তিক সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলো নির্বিঘ্ন রাখতে এ পরিমাণ আমদানির বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মুরগির রক্ত গায়ে মেখে প্রতারণা
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ভ্যানচালক সম্রাট আকবর সবুজ ও তার বন্ধু মোহাম্মদ নূর আলম মুরগির রক্ত মাথায় ও গায়ে মেখে রাস্তায় শুয়ে ভিডিও তৈরি করেন এবং ছবি তোলেন। এসব ছবি জুলাই ফাউন্ডেশনে জমা দিয়ে তুলে নিয়েছেন অর্থ সহায়তা।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকেও আর্থিক সহায়তা বাগিয়েছেন একই ছবি দেখিয়ে। সম্প্রতি জুলাই ফাউন্ডেশনের তদন্তে ধরা পড়লো এই প্রতারণা। এমন অনেকে প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য বরাদ্দকৃত অনুদান তুলে নিচ্ছেন। ফাউন্ডেশনের তদন্তে তাদের অনেকে ধরাও পড়ছেন।
এ পর্যন্ত অর্ধ শতাধিকেরও বেশি প্রতারণার ঘটনা ধরা পড়েছে। ধরা পড়াদের কেউ কেউ বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত দিয়েছেন। মামলার পর জেলে গেছেন ৩ জন।
ইতোমধ্যে প্রতারণার মাধ্যমে যারা টাকা বাগিয়ে নিয়েছে, তাদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করে টাকা উদ্ধার করার কথা জানিয়েছেন জুলাই ফাউন্ডেশনের প্রধান ভেরিফিকেশন অফিসার মো. হারুন।
ভারতীয় প্রোপাগান্ডায় তুলসীর তাল
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ভারতে বসে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যকে ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই এই ধরনের বিভ্রান্তিকর অভিযোগ অন্যায় ও অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। তুলসীর এই মন্তব্য ভারতীয় প্রোপাগান্ডানির্ভর এবং সত্যের অপলাপ বলে মনে করছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল এবং কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারাও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমনির্ভর হয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের দেওয়া এই ধরনের অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলছেন, তুলসী গ্যাবার্ড ভারতীয় প্রোপ্রাগান্ডার সুরে তাল মিলিয়েছেন। অন্যদিকে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলেও তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এক টাকা আয় করতে আড়াই টাকা ব্যয়
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, রেলসেবা খাতে দিনদিন লোকসান বাড়ছেই। এ গণপরিবহন পরিচালনায় ব্যয়ের পরিমাণ বাড়লেও আয় বাড়েনি। বরং আয়ের তুলনায় ব্যয় আড়াই গুণ। শিডিউল বিপর্যয় যেন নিত্য ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে ট্রেনে। নিয়মিত ট্রেন লাইনচ্যুত হচ্ছে। বিলম্বের কারণে ভোগান্তি যেন সঙ্গী হয়েছে যাত্রীদের। নানা ভোগান্তির কথা চিন্তা করে অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন রেল থেকে। বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্যমতে, বর্তমানে এক টাকা আয় করতে দুই টাকা ৫৬ পয়সা ব্যয় করছে রেল। গত ১৫ বছরে রেলে লোকসান হয়েছে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ রেলকে প্রতি বছর গড়ে লোকসান গুনতে হয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।
অভিযোগ উঠেছে, নানা অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি আর তদারকির অভাবেই লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে রেলে। গত এক যুগে রেলের উন্নয়নে অন্তত ১ লাখ কোটি টাকা ব্যয় হলেও ট্রেনের গতি বাড়েনি, বাড়েনি সুবিধাও। বরং আয়েশি ও অপ্রয়োজনীয় নানা প্রকল্পে পকেট ভারী হয়েছে অনেকের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ করে যথাযথভাবে মনিটরিং করা হলে, ট্রেনে টিকিট বিক্রি/জরিমানায় স্বচ্ছতা আনা গেলে রেলকে লাভজনক করা সম্ভব।
বাংলাদেশ রেলওয়ের গত বছরের ছয় মাসের (জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) আয়ের পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, যাত্রী পরিবহন, মালামাল পরিবহন, পার্সেলসহ বিভিন্ন মাধ্যমে রেলওয়ে আয় করেছে ৮৩৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আর এ ছয় মাসে রেলে পরিচালন ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা। ছয় মাসে রেলওয়ের অপারেটিং রেশিও ছিল দুই টাকা ৫৬ পয়সা। অর্থাৎ এ সময়ে এক টাকা আয় করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ব্যয় করেছে দুই টাকা ৫৬ পয়সা। এক টাকা আয় করতে রেলে দ্বিগুণের বেশি ব্যয় করার ধারাবাহিকতা চলছে অনেক বছর ধরেই। বাংলাদেশ রেলওয়ের সর্বশেষ প্রকাশিত ‘ইনফরমেশন মিরর-২০২২’ থেকে দেখা গেছে, ওই বছর এক টাকা আয় করতে রেলকে ব্যয় করতে হয়েছে ২ টাকা ৯০ পয়সার বেশি।
এটিআর/