বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
পাঁচ দশকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৫

পাক-ভারত সংঘাতের শঙ্কা
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার জেরে ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ছে। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার রাতে পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি হয়েছে। যদিও এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ অবস্থায় দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। ২০১৯ সালের পর গত মঙ্গলবার ভারত শাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় রক্তপাতে কমপক্ষে ২৬ পর্যটক নিহত হন। এরপর বেশ কিছু পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে দুই দেশ। হামলার ঘটনার পরপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ঘোষণা করে দিল্লি। তার মধ্যে প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয়, একটি গুরুত্বপূর্ণ পানি-বণ্টন চুক্তি স্থগিত করে এবং কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা।
এ ছাড়াও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং 'কঠোর প্রতিশোধ' নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে কাশ্মীরে নিরাপত্তাব্যবস্থায় যথেষ্ট গাফিলতি ছিল। এমন গাফিলতি ভবিষ্যতে যাতে না হয়, সে জন্য সতর্ক থাকা হবে বলে সর্বদলীয় বৈঠকে জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার ডাকা ওই বৈঠকে সরকারের পক্ষে থেকে এ কথাও বলা হয়, এই হামলার মদদদাতা পাকিস্তানকে কড়া জবাব দেওয়া হবে।
সীমান্তে গোলাগুলি, ফিরছেন ভিসা বাতিল হওয়া নাগরিকেরা
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যার দায় নিয়েছে 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট' নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী।
ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা বাতিলসহ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ নেয়। জবাবে পাকিস্তানও ভারতের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে এবং আকাশসীমা বন্ধসহ পাল্টা ব্যবস্থা নেয়। দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ভিসা বাতিলের কারণে নাগরিকেরা সীমান্ত দিয়ে নিজ নিজ দেশে ফিরছেন, অনেকেই আবেগঘন পরিস্থিতিতে বিদায় নিচ্ছেন। এমন উত্তেজনার মধ্যেই কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। জাতিসংঘ এই পরিস্থিতিতে দুই দেশকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, যুদ্ধ হলে তা সর্বাত্মক রূপ নিতে পারে। একই সঙ্গে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ এনে তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের নিন্দা জানিয়েছে। ভারতের সেনাপ্রধান কাশ্মীরে গিয়ে হামলার স্থান পরিদর্শন করেছেন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকার করেছে, নিরাপত্তাব্যবস্থায় গাফিলতি ছিল। বিরোধীরা এ নিয়ে সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে। পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়ছে।
‘রাজনৈতিক দলের ঠিকানা শ্বশুরবাড়ি স্টোররুম!’
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, রাজধানীর পুরান ঢাকার একটি স্টোররুমকে রাজনৈতিক দলের কার্যালয় দেখিয়ে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদন করেছে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণময় পার্টি।
দলটির দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নেই। ভবনের মালিকও এ বিষয়ে কিছু জানেন না। দলের চেয়ারম্যান শিপন ভূঁইয়া পরে একটি তালাবদ্ধ ছোট স্টোররুম খুলে সেটিকে দলীয় অফিস বলে দাবি করেন। সেখানেই চশমার জিনিসপত্র ও ঘি তৈরির সরঞ্জাম রাখা ছিল। তিনি জানান, ভবিষ্যতে এটি পার্টি অফিসে রূপান্তর করবেন।
আরেকটি দল, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, একটি আবাসিক ভবনের ঠিকানা ব্যবহার করেছে। দলটির প্রধান ড. সালেহউদ্দিন জানান, ওই ঠিকানা তাঁর শ্বশুরবাড়ি এবং এটি অস্থায়ী কার্যালয়। অনেক দলই রাজধানী বা বিভিন্ন জেলা-উপজেলার সাধারণ ভবনের ঠিকানা ব্যবহার করে নিবন্ধনের আবেদন করেছে।
নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ঠিকানায় অনেক দলের সাইনবোর্ড বা কার্যক্রম খুঁজে পাওয়া যায়নি। কারও কারও ফোনও বন্ধ। এ পর্যন্ত ৩৫টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু বেশিরভাগ দলের তথ্য ও কার্যক্রম বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না। ইসি নিবন্ধনের সময়সীমা ২২ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
স্থিতিশীলতায় দরকার নির্বাচন, দক্ষ সরকার
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য দ্রুত একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন।
তারা মনে করেন, একটি অভিজ্ঞ রাজনৈতিক সরকারের নেতৃত্ব ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সম্ভব নয়। বর্তমানে বাংলাদেশ এক ধরনের সংকটে রয়েছে, যা গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতির সঙ্গে মিল রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করা হলেও, অনেক উপদেষ্টার অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
ড. মাহবুব উল্লাহ এবং বদরুদ্দীন উমর মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে খুব দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করে দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের হাতে তুলে দিতে হবে। অন্যথায় দীর্ঘদিন অনির্বাচিত সরকার থাকলে নতুন সংকট দেখা দিতে পারে। প্রতিবেদনে ভূ-রাজনীতির প্রসঙ্গও এসেছে, যেখানে বলা হয়েছে, ভারতসহ প্রভাবশালী দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে হবে।
বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, মিডিয়া ট্রায়াল এবং অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘস্থায়ী করার গুজব নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে। সবশেষে, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য সব দলকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত নির্বাচনের আয়োজনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
অপরাধের সব সূচক বাড়ছে
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সারা দেশে অপরাধ বাড়ছে, যা মানুষ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও এই উদ্বেগকে প্রমাণ করছে।
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত খুন, অপহরণ, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বেশ কয়েকটি অপরাধ গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। হত্যার মামলা তিন মাসে বেড়েছে প্রায় ২০০টি। পুলিশের দাবি, পুরোনো অনেক মামলাও এই সময়ে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সংখ্যাটা বেড়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়, যা অপরাধীদের দাপট বাড়িয়ে দেয়। পুলিশের কার্যক্রম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলেও অনেক এলাকা এখনো অস্থির। বিভিন্ন অভিযানের পরও খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। সমাজে পুলিশের প্রতি আস্থা কমে গেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
তাদের মতে, দ্রুত বিচার ও আইনের সমান প্রয়োগ জরুরি। অপরাধীদের সামাজিক বা রাজনৈতিক পরিচয়ে ছাড় না দিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অপরাধ দমনে পুলিশের ভূমিকা, সরকারি উদ্যোগ এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তা বাড়ানো ছাড়া সমাজে স্থিতি ফিরবে না। এখনই উদ্যোগ না নিলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে উঠবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও আইএমএফ সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব চায়
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও আইএমএফ-এর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অর্থনীতি ও বাণিজ্য সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়িয়ে দেশটির আরোপিত বাড়তি শুল্কের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র জানতে চেয়েছে—বাংলাদেশ কীভাবে এই ঘাটতি কমাবে। এ জন্য বাংলাদেশ কিছু পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে এবং উড়োজাহাজ, এলএনজি, কাপড় ও তুলা কেনা বাড়াবে বলে জানিয়েছে।
একই সঙ্গে শ্রম অধিকার ও আইন উন্নয়নের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে। অন্যদিকে, আইএমএফ ঋণের কিস্তি ছাড়ের জন্য বলেছে—টাকার মান আরও নমনীয় করতে হবে এবং রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এখন টাকার মান কমাতে চায় না, কারণ এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাজস্ব আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রেও সরকার আরও সময় চাইছে।
আইএমএফ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, বিনিময় হার ও রাজস্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে বোর্ডে আলোচনা হবে। এদিকে বিশ্বব্যাংক আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি তিন দশমিক তিন শতাংশে নামতে পারে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে পরবর্তী বছর তা ৪.৯ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
তলানিতে শেয়ারবাজার, ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে ডিএসইর সূচক
সংবাদের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের সূচক ধারাবাহিকভাবে পতনশীল হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫০ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে, যা গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেয়ারবাজারের পতনের পেছনে কিছু কারণ থাকতে পারে, যেমন ব্যাঙ্কের সুদের হার বৃদ্ধি এবং শেয়ারবাজারে তারল্য সংকট।
এর আগে, ব্যাংক সুদের হার কম থাকায় মানুষ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতেন, কিন্তু এখন তারা সঞ্চয়ী হিসাব বা বন্ডে বিনিয়োগ করছেন। এছাড়া, পূর্বে ভালো কর্মক্ষমতা থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর মানুষের আস্থা কমে গেছে।
এছাড়া, পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের দায়িত্ব পালনে পরিবর্তন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশের অর্থনীতি যখন চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে, তখন শেয়ারবাজারও একই পরিস্থিতি পার করছে। তবে, ভবিষ্যতে অর্থনীতি চাঙ্গা হলে শেয়ারবাজারও ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত হবে বলে তাদের আশা।
পাঁচ দশকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। ১৯৭৬ সালে তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।
জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রবণতা বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে বাংলাদেশে এই বৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে বেশি। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের স্বাস্থ্য, কৃষি উৎপাদন ও বাস্তুতন্ত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রা জনস্বাস্থ্য, যেমন হিটস্ট্রোক, ডায়রিয়া এবং ডিহাইড্রেশনের সমস্যাও বাড়াচ্ছে।
১৯৮০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গড় তাপমাত্রা এক দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। ঢাকায় অতিরিক্ত কংক্রিট এবং সবুজ কমে যাওয়ার ফলে তাপমাত্রা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। তাপপ্রবাহ কৃষির ওপরও বড় ক্ষতি করছে, বিশেষ করে বোরো ধান এবং ফলমূলের উৎপাদন কমছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকাকে সবুজায়ন করতে হবে এবং বিকেন্দ্রীকরণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ড
তদন্তে ধীরগতি, বাড়ছে ক্ষোভ
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে চলা নৃশংসতায় গত ৪ঠা আগস্ট রাজধানীর মিরপুর ১০-এ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বিএএফ শাহীন কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শহীদ আহনাফ। আন্দোলনে যেতে বাবা-মা নিষেধ করলেও তা শোনেননি আহনাফ।
বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ফোনে আহনাফ তার মাকে জানিয়েছিলেন তিনি মিরপুর ১০ নম্বরে আছেন। এটাই ছিল আহনাফের সঙ্গে তার মায়ের শেষ কথা। সেদিন সন্ধ্যায় একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন পেয়েই শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে আহনাফের লাশ খুঁজে পান পরিবারের সদস্যরা। মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাদির কবরে পাশে দাফন করা হয় আহনাফকে।
এ ঘটনায় গত ৩রা অক্টোবর আহনাফের মা জারতাজ পারভীন সাফাত অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, পুলিশ বাহিনী সদস্যদের দ্বারা এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। যা তদন্ত সংস্থা খুঁজে বের করবে। এজন্যই নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। লক্ষ্য সন্তান হত্যার সুষ্ঠু বিচার। কিন্তু আভিযোগ দায়েরের প্রায় ৭ মাস অতিবাহিত হলেও মামলা হিসেবে অভিযোগটি ট্রাইব্যুনালে না আসা।
তদন্তের ধীরগতি। আসামিদের দ্বারা হুমকিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে আহনাফের মা-সহ জুলাই আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারগুলোর মধ্যে। সংশ্লিষ্টরা বলছে, মামলার তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের জন্য একের পর এক তারিখ দিলেও কোনো রিপোর্ট দাখিল না করতে পারা, তদন্ত সংস্থার প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাব, বিপুলসংখ্যক অভিযোগের বিপরীতে ছোট তদন্ত সংস্থাসহ নানা কারণে মামলার তেমন অগ্রগতি হচ্ছে না। এসব কারণে অসন্তোষ ও ক্ষোভ রয়েছে আন্দোলনে নিহত পরিবার ও আহতদের মাঝে।
এ ছাড়াও ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফর্মাল চার্জ দাখিলের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের বিচারে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে, আস্থা হারাতে পারে সাধারণ মানুষের। মুখ থুবড়ে পড়তে পারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারব্যবস্থা।