বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী
ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৭
রাজনীতির মাঠে নানা বিরোধ
বাংলাদেশের খবরের প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও তার আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ডামাডোলে, রাজনীতির ময়দানে নতুন করে আলোচনা, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে। কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের পক্ষে মত দিয়েছে। তবে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল এ ধরনের নিরপেক্ষ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের শঙ্কা, এর মাধ্যমে দেশে আর একটি ওয়ান-ইলেভেন (১/১১) সরকার গঠন হয়ে যেতে পারে।
প্রায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে দেশের রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নির্বাচন পদ্ধতি। নির্বাচিত দলীয় সরকারের অধীনে, নাকি অনির্বাচিত নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে; এ নিয়ে দফায় দফায় উত্তাপ ছড়িয়েছে দেশের রাজনীতি। এমন বিতর্কের অবসান হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। তখন প্রবল বিক্ষোভের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে ক্ষমতাসীন বিএনপি। কিন্তু ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সংবিধান থেকে এই নির্বাচন পদ্ধতি বাতিল করে দেয়। যদিও, এর আগে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চারটি সংসদ নির্বাচন হয়। তবে সে সময়ও এই ব্যবস্থার বেশ কিছু দুর্বলতা চিহ্নিত করেছিল রাজনৈতিক দলগুলো। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক প্রধান কে হবেন; তা নিয়ে আদালতের রায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতির পদকে বাদ দেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
পুলিশের তল্লাশি, টহল কাগজেই
প্রথম আলোর প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, রাতে ঢাকার রাস্তায় পুলিশ যেন অমাবস্যার চাঁদ। তাদের তল্লাশিচৌকি ও টহল দল কাগজে-কলমে রয়েছে, তবে সড়কে দেখা যায় খুবই কম। ওদিকে ছিনতাইয়ের আতঙ্কে বাস করছেন নগরবাসী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আটটি বিভাগ থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো তথ্য বলছে, রাজধানীতে দিন ও রাত মিলিয়ে এক দিনে পুলিশের অন্তত ৫০০ থেকে ৫১০টি টহল দল কাজ করে। এর মধ্যে রাতে টহল দল থাকে অন্তত ২৫০টি। টহল দলগুলো এক দিনে ১২০টির (দিন ও রাত) মতো তল্লাশিচৌকি (চেকপোস্ট) পরিচালনা করে। বেশি পরিচালনা করা হয় রাতে।
আসলেই তল্লাশিচৌকি ও টহল দল সড়কে থাকে কি না, তা দেখতে ১৯ থেকে ২২ জানুয়ারি এবং গত শুক্রবার রাতে ঢাকার অন্তত ৭০ কিলোমিটার সড়ক ঘুরেছেন প্রথম আলোর একজন প্রতিবেদক ও একজন ফটোসাংবাদিক। জায়গাগুলো হলো বিজয় সরণি, তেজগাঁও, মহাখালী, বনানী, গুলশান, সংসদ ভবনের দুই পাশ, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, আগারগাঁও, ধানমন্ডি, হাতিরঝিল, মগবাজার, মধুবাগ, খিলগাঁও, বাসাবো, মতিঝিল, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ ও জাতীয় প্রেসক্লাব। সড়কগুলো ঘোরা হয়েছে রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত। প্রথম আলোর প্রতিবেদক ও ফটোসাংবাদিক যে সময়ে সংশ্লিষ্ট সড়ক দিয়ে গেছেন, সেই সময়ে শুধু একটি জায়গায় (বাসাবো) টহল পুলিশ দেখা গেছে। শুধু গুলশানে প্রবেশের ক্ষেত্রে দুটি তল্লাশিচৌকি বা চেকপোস্টের পার্শ্ববর্তী পুলিশ বক্সে পুলিশ সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। অথচ তাঁদের সড়কে অবস্থান নিয়ে তল্লাশিচৌকি পরিচালনা করার কথা। দুই জায়গায় (গুলশান ও মোহাম্মদপুর) পুলিশের দুটি টহল গাড়ি থামানো অবস্থায় দেখা গেছে। কিন্তু সেই গাড়িতে বা আশপাশে পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি। বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারাও বলেছেন, রাতে ঢাকার সড়কে পুলিশের উপস্থিতি অনেক কম দেখা যায়।
বাস র্যাপিড ট্রানজিট এখন গলার কাঁটা
আমার দেশ পত্রিকার প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, অনেক হাঁকডাক ও বহু সুবিধার কথা বলে গাজীপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প শুরু করে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকার। প্রথমে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। পরে পাঁচ দফা ব্যয় বাড়িয়ে চার হাজার ২৬৮ কোটি টাকায় নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পটি নেওয়ার সময় বলা হয়, এটির মাধ্যমে ওই পথে চলাচলকারী যাত্রীদের দ্রুত যাওয়া-আসা, যানজটের ভোগান্তি দূর, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো ও ফুটপাতে পথচারীদের নির্বিঘ্নে হাঁটাচলায় সুফল আসবে। কিন্তু সুফল তো দূরের কথা, বরং এটিই এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে যাত্রী ও পথচারীদের কাছে। যানজট তো কমেইনি, উলটো এই প্রকল্পের কারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার কোটি টাকা
আমার দেশ পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে আসনপ্রতি ব্যয় হবে গড়ে ১০ কোটি টাকা। মোট ব্যয়ের মধ্যে দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকার মতো খরচ হবে কেনাকাটাসহ নির্বাচন পরিচালনায়। আর নির্বাচনি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের জন্য ১৫০ কোটির মতো ব্যয় হবে।
সংসদ নির্বাচনের জন্য এ সম্ভাব্য ব্যয় ধরে আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২৬) বাজেট প্রস্তুত করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর বাইরে ইউনিয়ন পরিষদসহ (ইউপি) স্থানীয় সরকারের চারটি প্রতিষ্ঠানের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭০০ কোটির বেশি। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। অবশ্য কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটা তাদের খসড়া হিসাব। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ বাজেট কমবেশি হতে পারে।
পথহারা অর্থনীতি তাকিয়ে তারকাদের দিকে
কালের কণ্ঠের প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, দেশ পরিচালনার নেতৃত্বে এখন স্বনামধন্য চার অর্থনীতিবিদ আর এক সফল ব্যবসায়ী। বলতে গেলে তাঁরাই দেশের অর্থনীতির তারকা। সবার শীর্ষে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ইতিবাচক ভাবমূর্তির কারণে সারা বিশ্ব যাঁকে একনামে চেনে। দক্ষতা, যোগ্যতায় আর অন্য সবারই রয়েছে কৃতিত্বময় অতীত।
জন-আকাঙ্ক্ষায় ভর করে ক্ষমতায় আসা এই তাঁদের হাতেই দেশের একটি সুন্দর অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের পাহাড়সম প্রত্যাশা। বিশেষ করে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ক্ষমতার শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে মানুষের চাওয়া-পাওয়ার শেষ নেই। সবারই প্রত্যাশা, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে দেশকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন তাঁরা। শুরু থেকেই তাঁদের প্রচেষ্টা ও উদ্যোগের কমতি নেই।
তবে তথ্য-উপাত্ত বলছে, নীতি-কৌশল ও অগ্রাধিকার বাছাইয়ে কোথাও ছন্দঃপতন হয়েছে, যার ফলে অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা চলছে। নানা সংকটের মুখে পড়েছে শিল্প। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা যাচ্ছে না। ছাড়িয়ে গেছে দুই অঙ্কের ঘর।
কেন কঠোর বিএনপি
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন, রাষ্ট্র সংকারের জন্য গঠন করা হয়েছে ১১টি সংস্কার কমিশন। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করে সব ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ করতেই বর্তমান সরকার কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। হঠাৎ করে যৌক্তিক কারণে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। সেই সঙ্গে বিএনপির মধ্যে সন্দেহ-সংশয় তৈরি হয়েছে। বিএনপি মনে করছে, সংস্কার ও বিভিন্ন ইস্যুতে ভোট বিলম্বিত হলে বিশেষ একটি গোষ্ঠী ও পতিত ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আর তা হলে অর্থহীন হবে জুলাই বিপ্লব। সে কারণেই দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে শক্ত অবস্থানে বিএনপি। দলটির একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শক্ত অবস্থান নিয়েছে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি। এ নিয়ে কোনো নয়ছয়, কলাকৌশল কিংবা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত বরদাশত করবে না দলটি। ‘অপ্রয়োজনীয়’ সংস্কার প্রস্তাব, গণ অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র ও নতুন দল গঠন- এই তিনটি ইস্যুতে সন্দেহ বাড়ছে বিএনপিতে।
আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী
সমকালের প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে দেখা দিয়েছে মতভেদ। অন্তর্বর্তী সরকার ও অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্ব দলটিকে জুলাই গণহত্যার জন্য দায়ী করে নির্বাচনে দেখতে চায় না। বিএনপি আগের মতোই সিদ্ধান্তের ভার জনগণের বললেও আওয়ামী লীগের অবস্থানে এসেছে নাটকীয় বদল। ক্ষমতাচ্যুত দলটি ১৪ বছরের বক্তব্য পাল্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইছে। অন্তর্বর্তী সরকার, ছাত্র নেতৃত্ব ও জামায়াতে ইসলামীর প্রতি কঠোর মনোভাব দেখালেও বিএনপির প্রতি নমনীয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপিকে দমনে কথা বললেও এখন একসঙ্গে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইচ্ছার জানান দিচ্ছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা এবং ছাত্রদের দল গঠন নিয়ে কথা বলার পর আওয়ামী লীগও সেটাতে তাল দিচ্ছে। বিএনপির মতো করে বলছে, জনগণের নির্বাচিত সংসদ প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে। এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেই দিয়েছেন, বিএনপির ‘কথার টোন’ আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।
ভয়াবহ হতে যাচ্ছে রোহিঙ্গা সংকট
সমকালের দ্বিতীয় প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, মিয়ানমার থেকে নিপীড়ন-নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি মার্কিন অনুদান বন্ধ হতে যাচ্ছে। ইউক্রেন ও গাজায় যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গত বছর এ অনুদানের পরিমাণ কমালেও পুরোপুরি বন্ধ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। গত সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে বিভিন্ন দেশে নতুন অনুদান ৯০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। এর আওতায় রয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইউএসএআইডির সহায়তাও। যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান বন্ধ হওয়ায় এর ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকট ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। টেকনাফে শরণার্থী শিবিরে থাকা লাখ লাখ রোহিঙ্গার খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
রোহিঙ্গাদের অনুদান দাতা দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সবার শীর্ষে। দেশটি মোট অনুদানের প্রায় অর্ধেকই দিয়ে থাকে। গত বছর অপেক্ষাকৃত কম অর্থ দিলেও তা ছিল অন্যদের চেয়ে বেশি। দাতাদের মধ্যে আরও আছে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের জন্য ২০ কোটি মার্কিন ডলার ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এ সহায়তার ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি এবং ৭ কোটি ডলার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর দেয়।
জটিল সমীকরণে রাজনীতি, বাড়ছে অনৈক্য সংশয় সন্দেহ
যুগান্তরের প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনীতির মাঠে অনৈক্যের সুর ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। ভোটের হিসাব-নিকাশ যত এগিয়ে আসছে বিরোধ ততই প্রকাশ্যে রূপ নিচ্ছে। দীর্ঘদিন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভোটের অধিকারসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে যারা রাজপথে শামিল ছিলেন, মাত্র ৫ মাসের মাথায় এসে তারা এখন একে অপরকে নিশানা বানাচ্ছেন।
এমনকি জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত সফল গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সমন্বয়কদের সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে পালটাপালটি বক্তব্যসহ এক ধরনের বিরোধ স্পষ্ট হচ্ছে। যদিও স্বৈরাচারী হাসিনাবিরোধী ১৫ বছরের আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপক অবদান ও ত্যাগ রয়েছে।
কিন্তু নির্বাচনের সময় নির্ধারণ এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার ইস্যুর সমাধান না হতেই এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতার প্রশ্ন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটির তত্ত্বাবধানে শিগগির নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখছে।
আ.লীগ আমলে পাচারের অর্থ আসছে রেমিট্যান্সে
দেশকে অস্থিতিশীল করতে সন্ত্রাসী কাজে ব্যয়
যুগান্তরের দ্বিতীয় প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত সাড়ে ১৫ বছরে দেশ থেকে পাচার করা অর্থের একটি অংশ এখন আবার রেমিট্যান্সের আদলে দেশে ফিরে আসছে। ওইসব অর্থের একটি অংশ সরকারকে চাপে ফেলতে ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ওইসব অর্থ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থিরতা তৈরিতে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি, সাম্প্রদায়িক উসকানি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ নানা খাতে ব্যয় করা হচ্ছে। এ ধরনের অর্থায়ন ঠেকাতে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই অংশ হিসাবে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে দেশে এখন রেমিট্যান্স পাঠাতে হলে অর্থের উৎস জানাতে হবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, বিগত সরকারের শেষদিকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছিল। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে শুরু করে। গত সরকারের শেষ মাসে অর্থাৎ জুলাইতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯১ কোটি ডলার। যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ কম।
এসবি