ছবি : সংগৃহীত
শান্তি ও মুক্তির বাণী ঐশীগ্রন্থ আল কুরআন। আঁধারঘেরা ভুবনজুড়ে আলোর পিদিম জ্বালায় সর্বশেষ আসমানি এই গ্রন্থটি। আল কুরআনুল কারিম যার বুকে রয়েছে, নিঃসন্দেহে তিনি ভাগ্যবান। নবিজি (সা.) কুরআন হিফজকারীদের ফেরেশতাদের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কাজেই এত ফজিলতময় এই কুরআনের হাফেজ হওয়ার ইচ্ছে কার-ই বা নেই! প্রতিটি মুসলিমেরই লালিত স্বপ্ন এটি। পৃথিবীর বুকে তাই কোটি কোটি মানুষ কুরআনকে অন্তরে গেঁথেছেন। ক্রিকেট পাড়ায়ও বেশ কয়েকজন কুরআনের হাফেজ রয়েছেন। পবিত্র কুরআন বুকে ধারণ করে যেসব ক্রিকেটার অনন্য মর্যাদায় নিজেদের নাম লিখিয়েছেন; চলুন জেনে নিই তাদের গল্প—
সরফরাজ আহমেদ : পাকিস্তানের বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার তিনি। ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই উইকেট-কিপার ব্যাটসম্যানের টেস্ট অভিষেক ঘটে। ঐশী গ্রন্থ কুরআনকে বুকে ধারণ করা সৌভাগ্য হয়েছে তার। গড়েছেন অনেক কীর্তিও।
সাদ নাসিম : ২০১৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে পা রাখেন তিনি। পাকিস্তান ক্রিকেট দলে মাঝারি সারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন এই কুরানে হাফেজ। এছাড়া তিনি লেগব্রেক স্পিন বোলিংয়েও পারদর্শী।
রাজা হাসান : ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার অভিষেক হয়। ২০১৪ সালে একই দলের বিরুদ্ধে ওয়ানডে অভিষেক ঘটান তিনি। ক্রিকেটের পাশাপাশি মহাগ্রন্থ আল কুরআনকে বুকে গেঁথেছেন এই ক্রিকেটার।
আবরার আহমেদ : পাকিস্তানি লেগ স্পিনার তিনি। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ইংল্যান্ড দলের পাকিস্তান সফরের সময় তাকে দলে ডাকা হয়। ৯ ডিসেম্বর মুলতানে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে তার অভিষেক ঘটে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কুরানের ত্রিশ পারা মুখস্থ করেছেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন : বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ অভিযানের অন্যতম সৈনিক এই অলরাউন্ডার। ছয় বছরে কুরআন মুখস্থ করার পর ২০১৭ সালে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম রংপুর থেকে হিফজ সমাপ্ত করেন মামুন। এরপর রংপুর ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হওয়ার অনুমতি পান। সেখান থেকেই ক্রিকেট বলে ক্রিকেটার হয়ে ওঠার মিশন শুরু মামুনের।
মহিউদ্দিন তারেক : ২০২১ সালে ভারতের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ডাক পান হবিগঞ্জের এই ক্রিকেটার। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেটকে আপন করে নিয়েছিলেন তিনি। পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও খুব ভালো তারেক। ঐশীগ্রন্থ আল কুরআন রয়েছে তার বুকেও।
ডিআর/এটিআর