বইমেলায় উপচেপড়া ভিড় হলেও নেই আশানুরূপ বিক্রি

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩১
-67a5fd4dda980.jpg)
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় বইমেলায় মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। দুপুরের পর থেকে সব বয়সী মানুষ দলে দলে বইমেলায় আসতে শুরু করেছেন। কিন্তু মেলায় মানুষের উপস্থিতি অনুযায়ী বই বিক্রি নেই বলে জানিয়েছেন বই স্টল ও প্যাভিলিয়নের বিক্রয় প্রতিনিধিরা।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা যায় মেলাপ্রাঙ্গণ কানায় কানায় পূর্ণ। মেলায় প্রবেশ ও বাহিরের সবগুলো গেইটে মানুষের জটলা বেঁধে আছে।
বইমেলায় ঘুরতে আসা আশিক রহমান বলেন, ছুটির দিন হওয়াতে পরিবারকে নিয়ে মেলায় এসেছি। প্রতিবারই মেলায় আসা হয়। মানুষের অনেক ভিড় তবুও ভালো লাগছে। কিছু বই কিনেছি আরও কিনব।
মেলায় পাঁচ বছর বয়সী শিশুকে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশু কর্নারে ঘুরছেন বেসরকারি চাকুরিজীবী মোনায়েম হোসেন। তিনি বলেন, শিশুকে নিয়ে এ বছরই প্রথম বইমেলায় আসলাম। বাঙালি একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে। এমন বীরত্বের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।
এদিকে মেলায় মানুষের উপস্থিতি অনুযায়ী বিক্রি নেই বলে জানিয়েছে বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়নে দায়িত্বরত বিক্রয় প্রতিনিধিরা। আকাশ প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি সোহাইল ইসলাম বলেন, মানুষ আসছে বই দেখছে চলে যাচ্ছে। কিছু মানুষ বই কিনছে আর বেশিরভাগই দর্শনার্থী। আশা করি সময় বাড়ার সাথে সাথে বিক্রি বাড়বে।
অন্য প্রকাশের বিক্রয় প্রতিনিধি নিঝুম সুলতানা বলেন, বিক্রি গত এক সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। ছুটির দিন হওয়ায় অনেকে মেলায় এসেছেন। তবে গত বছরের শুরু থেকে আমাদের বিক্রি যেমন ছিল এবার সে তুলনায় একটু কম। অনেকে আসছেন ছবি তুলছেন চলে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বই কিনছেন। আশা করি মেলার মাঝামাঝি থেকে বিক্রি বাড়বে।
উল্লেখ্য, গত পহেলা ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস।
বাংলা একাডেমির তথ্য অনুসারে, এবারের মেলায় ৭০৮টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিচ্ছে। যার মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আছে ১৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৬০৯টি। আছে ৩৭টি প্যাভিলিয়ন ও ১৩০টি লিটল ম্যাগাজিন স্টল। ৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ছাড়া প্রতি শুক্র ও শনিবার থাকবে ‘শিশুপ্রহর’। শিশু-কিশোরদের জন্য থাকছে চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতা।
পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বইমেলা। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিনে বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এবারের বইমেলা হচ্ছে পলিথিনমুক্ত। এ ছাড়াও বিশেষ আয়োজন হিসেবে আছে ‘জুলাই চত্বর’। যেখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের চিত্র।
এসআইবি/বিএইচ