সেশনজটে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৫, ১১:৩১
-67c29bc59eb09.jpg)
ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতার ফলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক জীবন বিপর্যস্ত। সেকেন্ড এক্সামিনার ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাকিব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর দায়িত্বহীনতায় ৭ম সেমিস্টারের ফলাফল দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিলম্বের জেরে থমকে গেছে ভাইভা, গবেষণা প্রস্তাবনা জমা ও চাকরির আবেদনসহ সব কার্যক্রম।
গত বছরের ২৩ মে শেষ হয় আইন বিভাগের ৭ম সেমিস্টারের পরীক্ষা। খাতা মূল্যায়নের পর পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাকিব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলন পরবর্তী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি এই দায়িত্বে অবহেলা করেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা। ফলে তার দপ্তরেই আটকে যায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নম্বরপত্র।
এ বিষয়ে সরাসরি উত্তর না দিয়ে অধ্যাপক নাকিব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘খাতা আমি দেখিনি। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে খাতা দিয়ে দিচ্ছি।’
আইন ও বিচার বিভাগের স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীরা বলেন, ৭ মাস ধরে ফলাফল না পেয়ে বার কাউন্সিল, জুডিশিয়ারি বা সরকারি চাকরির আবেদন থেকে বাদ পড়ছি আমরা। উপাচার্যের অবহেলার মূল্য দিচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ। এর আগেও বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশে আট মাস লেগেছিল।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিভাগীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমন্বয়হীনতা ও অসহযোগিতাই এই সংকটের মূল কারণ।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ইরফান আজিজ বলেন, ‘দ্রুত ফলাফল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে আরও সপ্তাহখানেকের বেশি সময় লাগবে।’