কুয়েটে শিক্ষার্থী বহিষ্কারের প্রতিবাদে ইবিতে সমাবেশ

ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২০:২৭
-67fe6ce203873.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)–এ ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা চত্বরে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা কুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস গঠনের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এটি কুয়েট প্রশাসনের প্রহসনমূলক সিদ্ধান্ত।’
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কুয়েট প্রশাসন দ্রুত এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে দেশের ছাত্রসমাজ আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।’
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইবি শাখার সমন্বয়ক এস. এম. সুইট, সহসমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ইয়াশিরুল কবীর, গোলাম রাব্বানী এবং জাস্টিস ফর জুলাইয়ের আহ্বায়ক নাহিদ হাসান প্রমুখ।
সহসমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে বহিরাগতদের হামলার সুষ্ঠু তদন্ত না করে, বরং শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া কুয়েট প্রশাসনের অদক্ষতা ও পক্ষপাতদুষ্টতার পরিচায়ক। অপরাধ প্রমাণের আগেই বহিষ্কার ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।’
সমন্বয়ক এস. এম. সুইট বলেন, ‘গত ১৬ বছরে সরকারপৃষ্ঠপোষক উপাচার্যদের কেউ এমন সিদ্ধান্ত নেননি। অথচ বর্তমান কুয়েট উপাচার্য একতরফাভাবে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বিভাজনের চেষ্টা করছেন এবং তাঁর পদে থাকার ন্যূনতম যোগ্যতাও হারিয়েছেন।’
গত ১৪ এপ্রিল রাতে কুয়েটের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে আগামী ২ মে থেকে আবাসিক হল খোলার এবং ৪ মে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরদিন শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনসহ একাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন। পরে সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এআরএস