Logo

ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

দৈনিক সিগারেটই বিক্রি হয় লাখ টাকার কাছাকাছি

Icon

বাকৃবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:২৩

দৈনিক সিগারেটই বিক্রি হয় লাখ টাকার কাছাকাছি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) চলছে সিগারেটের রমরমা ব্যবসা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হলসমূহ এবং আশেপাশের দোকানগুলোতে প্রতিদিন সিগারেট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার টাকার উপরে এবং এক মাসে টাকার অংকে তা প্রায় ২৭ লাখ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে যায়।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের বিভিন্ন দোকান, টং দোকান এবং ছেলেদের আবাসিক হলের ক্যান্টিনগুলোতে বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেট বিক্রি হয়। আবাসিক হলগুলোতে সিগারেটের ক্রেতা প্রধানত শিক্ষার্থীরাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের ৯টি আবাসিক হলের ক্যান্টিনে দৈনিক প্রায় ২৩ হাজার টাকারও বেশি সিগারেট বিক্রি হয়। শিক্ষার্থী এবং হলের স্টাফরা ক্যান্টিন থেকে ওই সিগারেট কেনেন। 

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড়ে ২৪টি টং দোকানে সিগারেট বিক্রি হয়। দোকানগুলোতে দৈনিক গড়ে প্রায় ৩৭০০০ টাকার সিগারেট বিক্রি হয়। অন্যদিকে কামাল রঞ্জিত মার্কেটের ৫ টি দোকানে দৈনিক গড়ে প্রায় ৬০০০, ফসিলের মোড়ের ৫টি দোকানে দৈনিক গড়ে প্রায় ১২০০০, নদীর পাড়ে দৈনিক ১০০০ এবং শেষ মোড়ের কয়েকটি দোকানে দৈনিক গড়ে সর্বমোট ৯০০০ টাকার সিগারেট কেনা-বেচা হয়ে থাকে। 

কয়েকটি আবাসিক হলের ক্যান্টিনের কর্মচারীরা জানান, কিছু শিক্ষার্থী যদি ১০ টাকা খাবারের পিছনে খরচ করে, তার বিপরীতে ৩০ টাকা খরচ করে সিগারেটের পিছনে। ক্যান্টিনে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় সিগারেট।

এছাড়া হলের বাইরে অন্যান্য দোকানগুলোর ক্রেতা একইসাথে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বহিরাগতরা। বিশেষ করে ক্লাস শেষে বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দোকানগুলোতে চলে সিগারেটের রমরমা কেনা-বেচা।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রির মোড়, ডেইরি ফার্ম, ফিশারিজ মোড়ের দোকানগুলোতে সিগারেট বিক্রি হলেও শিক্ষার্থীদের আনাগোনা কম থাকায় তা গণনায় উল্লেখ করা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসিলের মোড়ের এক দোকানি বলেন, ‘বর্তমানে তিনজন ডিলার ক্যাম্পাসে সিগারেট সরবরাহ করে থাকে। তবে সিগারেটের দাম বৃদ্ধির পর থেকে সিগারেট বিক্রি কিছুটা কমে গেছে।’

এ বিষয়ে বাকৃবির হেলথ কেয়ার সেন্টারের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার কাম প্যাথলজিস্ট ডা. আবুল কালাম মোহাম্মদ আজাদ বলেন, ‘ধূমপান আমার মতে শুধু এক ধরনের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। ধূমপান একাধারে শারীরিক, মানসিক, আর্থিক সকল ধরনের ক্ষতির কারণ। ধূমপান আসক্তি ধীরে ধীরে মানুষকে অন্যান্য মাদকদ্রব্যের দিকে ধাবিত করে। যেহেতু সিগারেট বিক্রি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ নয়, তাই এগুলোর বিক্রি বন্ধ করা সম্ভব না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত শিক্ষার্থীদের মাঝে ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরা, ধূমপান না করতে উদ্বুদ্ধ করা, ধূমপানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা চালানো।’

মো. আশিকুজ্জামান/এমআই

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর