Logo

ক্যাম্পাস

ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা

নেই ভ্রাম্যমাণ টয়লেট, ভোগান্তিতে নারী অভিভাবকেরা

Icon

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪:১৮

নেই ভ্রাম্যমাণ টয়লেট, ভোগান্তিতে নারী অভিভাবকেরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের (স্নাতক) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ক্যাম্পাস জুড়ে যেন অভিভাবকদের ঢল নেমেছে। কিন্তু তাদের জন্য ঢাবি প্রশাসন পর্যাপ্ত সুবিধা এমনকি ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থাও করেনি। এতে চরম ভোগান্তি পড়ছে শত শত নারী অভিভাবক।

সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র ও ক্যাম্পাসের হলগুলো পরিদর্শন করে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

সরজমিনে দেখা যায়, মাস্টারদা সূর্যসেন হল, হাজী মোহাম্মদ মুহসিন হল, কবি জসীমউদ্দিন হল, বিজয় একাত্তর হল, টিএসসি, মধুর ক্যান্টিনের ওয়াশরুমগুলোতে দীর্ঘ লাইন। ওয়াশরুমে প্রবেশ করতে অনেকের লেগে যাচ্ছে কয়েক ঘণ্টা।

ভোরে ক্যাম্পাসের আশপাশ ঘুরে দেখা যায়, দূরদূরান্ত থেকে খুব ভোরে অনেক অভিভাবকরা ক্যাম্পাসে চলে এসেছেন সন্তানকে নিয়ে। সেসময় থাকার জায়গা না পেয়ে অনেকেই মলচত্ত্বর, বটতলা, মধুর ক্যান্টিন ও আশেপাশের হলগুলোতে অবস্থান নিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নারী অভিভাবকেরা। মেয়েদের হলে প্রবেশ নিষেধ থাকায় বাধ্য হয়ে পুরুষ শিক্ষার্থীদের হলের ওয়াশরুমগুলোতে যেতে হচ্ছে তাদের। সেখানেও দীর্ঘ লাইন অতিক্রম করে যেতে হচ্ছে ওয়াশরুমে, এতে বিরক্তি প্রকাশ করছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরাও। ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে অভিভাবকদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক নারী অভিভাবক এবং ঢাবি শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল ক্যাম্পাসের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থান হওয়ায় প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার সময় তুলনামূলক বেশি ভিড় হয়। এবারও একই দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। এ বছর অভিভাবকদের চাপ বেশি থাকায় সূর্যসেন হল প্রশাসন কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে হলের ভেতরের ওয়াশরুমে নারী অভিভাবকদের প্রবেশাধিকার দিয়েছেন।

বরিশাল থেকে আসা জামিয়া আক্তার নামের এক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘অনেক দূর থেকে বাস জার্নি করে ভোরবেলা ক্যাম্পাসে এসেছি। সকালে প্রত্যেক মানুষের সচরাচর ওয়াশরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। ঢাবি কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল এ বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা রাখা। কিন্তু তারা এটি এড়িয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি আমার মেয়ে নিয়ে রোকেয়া হলের সামনে যাই, কিন্তু ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি। পরবর্তীতে মধুর ক্যান্টিনে গিয়ে দেখি, সেখানেও গড়িয়ে লাইন। আমাদের মতো নারী অভিভাবকদের জন্য এটি অনেক কষ্টকর।’

টাঙ্গাইল থেকে আসা আরেক অভিভাবক রহিমা খাতুন বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ ওয়াশরুমের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক বিব্রতকর। আজ এমন ঘটনার স্বীকার হতে হবে ভাবতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আরো সচেতন হতে হবে।’

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী জুবায়ের বলেন, ‘সূর্যসেন হলের ওয়াশরুমগুলোর বেহাল দশা। প্রশাসনের এমন দায়িত্বহীনতা মোটেও কাম্য নয়। তারা চাইলে ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা করতে পারতেন, কিন্তু তারা করেনি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুউদ্দিন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টি এবার অনুভব করেছি। আমরা এবার শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, মধুর ক্যান্টিনসহ কয়েকটি জায়গায় অভিভাবকদের ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করেছি। এ বছর ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা করতে পারলে ভালো হতো। পরবর্তী বছর অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা করব।’

এমএমআই/এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর