
রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্কে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া যুবকের পরিচয় মিলেছে। ভিক্টর ক্লাসিক বাসে মলমপার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারানো ওই যুবকের নাম মো. ফারুক হোসেন (৩৭)। তিনি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল গ্রামের বাসিন্দা আ. মালেকের ছেলে।
জানা গেছে, ফারুক হোসেন ওমান প্রবাসী ছিলেন। নামাজ পড়তে গিয়ে সেখানে পুলিশের হাতে আটক হন। সেখানে টানা ১৫ দিন কারাভোগ করেন। এরপর মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দেশে ফেরেন তিনি। পরিবারের কেউই তার ফেরার বিষয়টি জানতেন না।
বাংলাদেশে পৌঁছে বিমানবন্দর থেকে সদরঘাটে যাওয়ার জন্য তিনি ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। বাসে পাশে বসা এক ব্যক্তি তাকে বিস্কুট ও জুস খেতে দেয়। এরপর জ্ঞান হারান ফারুক। তার কাছে থাকা স্মার্টফোন ও টাকা-পয়সা সবই লুটপাট হয়ে গেছে।
ফারুক হোসেন বলেন, 'ওমানে নামাজ পড়তে গেলে পুলিশ আমাকে ধরে। ১৫ দিন পর তারা ছেড়ে দেয়। এরপর বাংলাদেশে ফিরে সদরঘাট যেতে বাসে উঠি। বাসে পাশের লোকটি আমাকে বিস্কুট আর জুস দেয়। ওটা খাওয়ার পর আমার আর কিছু মনে নেই।'
এ বিষয়ে সিআইডির ইন্সপেক্টর মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এ সময় ধীরে ধীরে তার জ্ঞান ফিরে আসে। তিনি নিজের নাম বলেন এবং ঠিকানাও জানান, যা জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলে গেছে। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তারা বুধবার ঢাকায় এসে তাকে নিয়ে যাবেন।’
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় অচেতন অবস্থায় ফারুককে ফেলে পালিয়ে যায় ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের চালক ও হেল্পার। এ সময় তাকে উদ্ধার করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের (আইএমএল) শিক্ষার্থী শের আলী। পরবর্তীতে সূত্রাপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ফারুক হোসেনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জেএন/এমএইচএস