ঢাকা সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে রাজধানীর ডেমরা এলাকার পাইটিতে মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ ও রাস্তার উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে এলাকাবাসী ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। 

বিগত সরকারের আমলে বন্ধ হওয়া পথ উন্মুক্ত করে পাকাকরণ ও সুয়ারেজ লাইন নির্মাণের ফলে যাতায়াতের সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের অন্তর্ভুক্ত জামেআ মারকাযুল ইহসান ও মসজিদ-এ বাইতুল মতীন ‘আল্লামা শাহ্ আব্দুল মতীন কমপ্লেক্স’র স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য ২০২২ সালে ঢাকা-ডেমরা মহাসড়ক এলাকায় ১৩৩ শতাংশ জমি কেনা হয়। বর্তমানে সেখানে নির্মিত মসজিদে নামাজ এবং মাদরাসায় শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সম্প্রতি রোমানা পেইন্টের মালিক আবুল কালাম ফরহাদ একটি অবৈধ দোতলা ভবন নির্মাণ শুরু করেন, যা মাদরাসার প্রধান চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়। এতে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়েন।

মাদরাসার ভাইস-প্রিন্সিপাল মুফতি আশেকে এলাহি বলেন, এলকাবাসীর উদ্যোগে ওই পথ খুলে দেওয়া হয়। এ সময় এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরিত আবেদন ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাছে জমা দেওয়া হয়। তাদের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টার ফলে সিটি করপোরেশন বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। 

তিনি বলেন, ‘রাস্তা খোলার ফলে পথচারীদের চলাচল এবং নামাজের সুযোগও সহজ হয়ে গেছে।’

এলাকার মুসল্লি ও মাদরাসা সংশ্লিষ্টরা এই পদক্ষেপের জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন, রাজউক এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারা আশাবাদী, এই উন্নয়ন প্রকল্পটি শিগগিরই পূর্ণতা পাবে।

রোমানা পেইন্টের মালিক আবুল কালাম ফরহাদ বলেন, ‘এটা আমার ব্যক্তিগত জায়গা। এলাকাবাসীর সেবার জন্য রাস্তা নির্মাণে আমার একার জায়গা কেন নেবে? পাশের জায়গাও তো আছে।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের সুবিধায় পাশের জায়গা থেকেও নিক, আমার জায়গা থেকেও নিক। এককভাবে আমার জায়গা থেকে কেন হবে?’

ব্র্যাক নার্সারির দায়িত্বশীল ও স্থানীয় মো. ইলিয়াস বলেন, ‘আমাদের ব্র্যাক নার্সারির ভারাট ও সীমানা নির্মাণের কার্যক্রম আমার হাতেই সম্পন্ন করা হয়। আমরাও মসজিদ-মাদ্রাসা ও জনগণের চলাচলের জন্য রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ৪ ফুট জমি ছেড়েই আরসিসি দেওয়াল তুলেছি।’

আমুলিয়া মডেল টাউনের সভাপতি আলহাজ্ব রতন চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আমাদের এলাকার দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামেআ মারাকাযুল ইহসান, ঢাকা’র সার্বিক উন্নতি অগ্রগতির জন্য আমরা আজীবন সহযোদ্ধা হয়ে থাকব ইন শা আল্লাহ।’’

এইচএম/এটিআর/