আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ, মালিককে মারধর

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৪
-67a5f22d443a9.jpg)
রাজধানীর ভাটারায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বলপূর্বক জমি দখল ও বাউন্ডারি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মাসুদ খান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জমির মালিক নূর নবী ভূঁইয়া বাধা দিতে গেলে হামলার শিকার হন এবং প্রাণনাশের হুমকি পান। এ বিষয়ে ভাটারা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী।
ভাটারা মৌজার সাঈদ নগর এলাকায় ২৬৮৬নং সিএস/এসএভুক্ত এবং মহানগর জরিপের ১৫২১৮নং দাগের এক একর একান্ন শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলা (মামলা নং-৮২৮/২৫) চলমান। ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত ওই জমির দখলদারিত্বের ওপর ‘স্থিতাবস্থা’ আদেশ জারি করেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, আদালতের এই আদেশ অমান্য করেই গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মাসুদ খান ও তার লোকজন অবৈধভাবে বাউন্ডারি নির্মাণ করছেন।
ভুক্তভোগী নূর নবী ভূঁইয়া জানান, মাসুদ খান আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে আমার কেনা জমিতে জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণ করছে। বাধা দিতে গেলে তার লোকজন আমাকে মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। থানায় একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি।
তার স্ত্রী নুরুন নাহার বেগম জানান, এর আগেও মাসুদ খানের লোকজন আমাকে মারধর করেছে। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন আমরা নিরুপায়।
ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম জানান, আমি দুইবার পুলিশ টিম পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করেছি। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই ভুক্তভোগীকে নতুন করে আদেশ নিতে বলা হয়েছে।
তবে মামলার নথিতে স্পষ্টভাবে ‘অত্র মোকদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষকে নালিশী সম্পত্তির দখলের বিষয়ে স্থিতাবস্থার আদেশ’ উল্লেখ থাকার বিষয়টি নিয়ে ওসিকে প্রশ্ন করা হলে ওসি মাজহারুল ইসলাম প্রতিবেদককে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
কিন্তু মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আদালতের স্থিতাবস্থা আদেশ এখনো কার্যকর রয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওসি মাজহারুল ইসলাম কোনো স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি।
অভিযুক্ত মাসুদ খান দাবি করেন, নূর নবী আমার চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে জমি কিনেছে। তবে আমি নিজের জায়গায় দখলে আছি। আদালতের স্থিতাবস্থা আদেশ লঙ্ঘন করে বাউন্ডারি নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান এবং জমির মালিককে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, আদালতের আদেশ থাকার পরও স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা বিপাকে পড়েছেন। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এমএএস/এমএইচএস