ডিএনএ পরীক্ষায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত যুবকের পরিচয় শনাক্ত

ঢামেক প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:২৭
-67ae0f71d4472.jpg)
ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় নিহত সাত অজ্ঞাতনামা মরদেহের মধ্যে একজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে থাকা ওই মরদেহটি মো. হাসান (১৯) নামের এক যুবকের বলে নিশ্চিত হয়েছে তার পরিবার।
হাসান রাজধানীর কাপ্তান বাজারের একটি ইলেকট্রিক দোকানের কর্মচারী ছিলেন। দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর তার পরিবারের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলে যাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, ঢামেক মর্গে রাখা মরদেহগুলোর মধ্যে একটি তারই।
মর্গ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় হাসানের পরিবার মরদেহ নেওয়ার আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। শনিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তারা মরদেহ নিয়ে যাবেন। এর আগে, গত ১২ জানুয়ারি ঢামেক মর্গে এসে তারা মরদেহ শনাক্তের চেষ্টা করেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মুনসুর জানিয়েছেন, ঢামেক মর্গে থাকা সাতটি মরদেহের মধ্যে ছয়টি শাহবাগ থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং আরেকটি যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ দেখভাল করছে। নিহত হাসানের মরদেহটি যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
হাসানের চাচা নুরে আলম জানিয়েছেন, তার ভাতিজা মো. হাসান গত জুলাই বিপ্লবের সময় থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ফেসবুকে একটি ছবিতে এক যুবকের পায়ে তার প্যাঁচানো ও মুখে হালকা দাড়ি ছিল, পরনে ছিল পায়জামা-পাঞ্জাবি। দেখে মনে হয়েছিল, সেই তাদের হাসান। আজ ডিএনএ পরীক্ষায় তা নিশ্চিত হলো।
ভোলা সদর উপজেলার বাগচির গ্রামের মনির হোসেন ও গোলেনুর বেগমের ছেলে হাসান রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সুতি খালপাড় বালুর মাঠ এলাকায় থাকতেন। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনিই ছিলেন বড়। তার বাবা গ্রামে কৃষিকাজ করেন।
এদিকে, ঢামেক মর্গে থাকা নিহতদের মধ্যে এক নারীসহ আরও ছয়টি মরদেহের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি।
এআই/এমএইচএস