স্ট্রবেরি চাষে মৌসুমে দুই ভাইয়ের আয় ৩০ লাখ টাকা

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৬

গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ট্রবেরি চাষ করে সাফল্যের দেখা পেয়েছেন দুই ভাই। নিজেদের ৬ বিঘা জমিতে আলাদাভাবে স্ট্রবেরি চাষ করে তারা আয় করেছেন প্রায় ৩০ লাখ টাকা। তিন বছর আগে বড় ভাই আমির হোসেন ইউটিউবে স্ট্রবেরি চাষ দেখার পর এই চাষের প্রতি আগ্রহী হন। স্থানীয় এনজিওর সহায়তায় প্রথমবার স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন তিনি।
আমির হোসেনের সফলতা দেখে ২০২৪ সালে ছোট ভাই জমির হোসেনও নিজ দুই বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি বাগান তৈরি করেন। যদিও প্রথম বছর লাভ হয়নি, তবে বর্তমানে তিনি একটি বাগান থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় করছেন।
গোসিংঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে জমির হোসেন ও আমির হোসেন ৬ বিঘা জমিতে ৩৮ হাজার চারা রোপণ করেছেন। স্ট্রবেরি গাছগুলোতে শোভা পাচ্ছে সাদা ফুল, সবুজ কাচা ফল এবং পাকা লাল স্ট্রবেরি। বাগানের চারপাশে জাল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। প্রতিদিন ৫-৬ জন নারী শ্রমিক স্ট্রবেরি সংগ্রহ করছেন।
এখন স্ট্রবেরি চাষের প্রবণতা বাড়ছে। শ্রীপুরের কৃষকরা তাদের সফলতা দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন। জমির হোসেন ও আমির হোসেনের চাষ করা স্ট্রবেরি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে।
জমির হোসেন পেশায় কৃষক এবং আমির হোসেন আইনজীবী। আমির হোসেন ইতোমধ্যে চার বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল অন্যান্য ফসল চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন। জমির হোসেন এখন ৫ লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করেছেন এবং আরও ১৫ লাখ টাকার বিক্রির আশা করছেন। অন্যদিকে, আমির হোসেন ৮ লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করেছেন এবং আরও ২০ লাখ টাকার বিক্রির আশা করছেন।
আঞ্চলিক কৃষি কর্মকর্তারা জানান, শ্রীপুরে স্ট্রবেরি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের সহায়তা প্রদান করছে এবং অনেক কৃষক এই চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
বাগানে কাজ করা শ্রমিকরা জানান, স্ট্রবেরি চাষে তাদের ভালো লাগে। তারা প্রতিদিন ফল তুলে বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেন।
আমির হোসেন বলেন, ‘স্ট্রবেরি চাষে লাভের পরিমাণ ভালো। প্রতি বছর ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা লাভ হয়।’
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুমাইয়া সুলতানা বন্যা বলেন, ‘শ্রীপুরে ফল ও সবজি উৎপাদন অনেক বেশি। এই দুই সহোদর ভাইয়ের সফলতা অন্য কৃষকদের জন্য উদাহরণস্বরূপ।’
- আতাউর রহমান সোহেল/এমজে