চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চারটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে মিরসরাইয়ের মিঠাছরা বাজারের ইউর্টাণ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক বোরহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানার মুশিরাবাদ গ্রামের লতিফ হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদার (৩৫) ও চট্টগ্রাম নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি থানার পুরা মসজিদ গ্রামের শাহা আলমের ছেলে সোহাগ (৩৫)।

আহতরা হলেন- শাহরিয়া (১৮), শারমিলা (১৬), রোমেলা (১২), উম্মে ছালমা (১৬), আলমিয়া (১৪), মারিয়া (১৫), কামরুজ্জমান (৪২), আবদুর রশিদ (৫০), আয়েশা আক্তার (৪২), মিজান উদ্দিন (৬৩)। এছাড়া আহত বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ভোররাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে চলাচল করা নীরব পরিবহন বাসটি শ্যামলী পরিবহন বাসকে চাপ দেয়। এর ফলে নীরব পরিবহনের বাসটি মহাসড়কের আইল্যান্ড পার হয়ে চট্টগ্রামমুখী হয়ে গিয়ে দ্রুতগামী একটি কাভার্ডভ্যানের সাথে ধাক্কা খায়। অপরদিকে শ্যামলী পরিবহন বাসটিও ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে চারটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এ সময় ঘটনাস্থলে দুইজন নিহত হন এবং বাসের প্রায় ২০ জন যাত্রী আহত হন। খবর পেয়ে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ দুর্ঘটনার ফলে মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়। এতে প্রায় ২ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক বোরহান জানান, ভোররাতে মহাসড়কের মিঠাছরা বাজার এলাকায় চারটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সাফায়েত মেহেদী/এমবি