মাদক সেবন নিয়ে দ্বন্দ্বে খুন, ৩ বন্ধু গ্রেপ্তার

ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৩৭

ছবি : বাংলাদেশের খবর
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ সতর গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হোসেন মোচ্ছেদী (২১) মাদক সেবন নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
নিহত বেলালের তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদক নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে নিজেদের মধ্যে মারামারির কথা স্বীকার করেছেন তারা। তবে কার মারধরে বেলাল নিহত হয়েছেন, তা স্বীকার করেনি কেউ।
বুধবার রাতে বেলালের বাবা নুরুল আলম মিন্টু তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ছাগলনাইয়া পৌরসভার দক্ষিণ সতর এলাকার আলি আহাম্মদ ভেন্ডার বাড়ির আলাউদ্দিনের ছেলে আসলাম উদ্দিন (২২) একই এলাকার মোচ্ছেদী বাড়ির মৃত নুর হোসেনের ছেলে রাফিকুল ইসলাম হৃদয় (২৩) এবং ফুলতলী আলমগীরের বাড়ির আলমগীরের ছেলে জিহাদ উদ্দিন (১৮)।
আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে পুলিশ তিন আসামিকে ফেনীর আদালতে পাঠায়। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ছাগলনাইয়ার আমলি আদালত) অপরাজিতা আসামি আসলাম উদ্দিন ও রাফিকুল ইসলাম হৃদয়ের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. সালাউদ্দিন রাশেদ বাংলাদেশের খবরকে জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে ঘর থেকে বের হয়ে তুলাতুলি বাজারে যায় বেলাল হোসেন মোচ্ছেদী। এ সময় সেখানে অপেক্ষা করছিল তার বন্ধু আসলাম ও রাফিকুল ইসলাম হৃদয়। তারা তিনজন মিলে তুলাতলি বাজারের দোকানের পেছনে বসে ইয়াবা সেবন করে। এর আগে তাদের আরেক বন্ধু জিহাদ গাজা সেবনের জন্য আসলামকে টাকা দেয়।
তিনি আরও জানান, গাজা নিয়ে তাকে দক্ষিণ সতর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আসতে বলেছিল জিহাদ। কিন্তু বেলাল ও রাফিকুলের সঙ্গে ইয়াবা সেবন করায় জিহাদের জন্য গাজা কিনে সেখানে যায়নি আসলাম। জিহাদ বারবার ফোন করলেও আসলাম ফোন রিসিভ করেনি। বারবার ফোন করায় ক্ষিপ্ত হন আসলাম।
এসআই সালাউদ্দিন জানান, ইয়াবা সেবন করার সময় তারা তিনজন যুক্তি করে জিহাদকে শায়েস্তা করার। তার মোবাইল ও টাকা-পয়সা ছিনতাই করার প্ল্যান করে তারা। তখন রাত ৩টার কাছাকাছি। পরামর্শ অনুযায়ী প্রথমে আসলাম যায় জিহাদের কাছে। পরে বেলাল ও রাফিকুল সেখানে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার তিনজন এখনও পরিষ্কার ভাবে মুখ খুলেনি যে সুনির্দিষ্ট কার আঘাতে বেলাল হোসেনের মৃত্যু হয়েছে।
এমরান পাটোয়ারী/এমবি