ছবি : বাংলাদেশের খবর
রমজানের শুরুতেই হঠাৎ করে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় বোতলজাত সয়াবিন তেল উধাও হয়ে গেছে। অভিযোগ উঠেছে, নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। দোকানিরা বলছেন, কোম্পানির সিন্ডিকেটের কারণেই বাজারে তেলের এ সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
শনিবার (১ মার্চ) উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ দোকানেই বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে প্রতি লিটার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি।
গোবিন্দাসী বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মিনহাজ মণ্ডল বলেন, গত ১৫ দিন ধরে কোনো কোম্পানি বোতলজাত সয়াবিন সরবরাহ করছে না। বরং চাহিদা দিলে সঙ্গে অন্যান্য পণ্য, আটা ও সরিষার তেল বাধ্যতামূলকভাবে কিনতে বলা হচ্ছে। ডিলাররা বোতল থেকে তেল ঢেলে খোলা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করছেন। ফলে সংকট আরও বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ দোকানে ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন নেই। স্বল্প পরিসরে ১/২ লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে, দাম বাড়িয়ে প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। দোকানিরা বলছেন, কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে না।
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভুক্তভোগী ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় শিক্ষক সুরুজ্জামান বলেন, রমজান এলেই দোকানিরা ও কোম্পানিগুলো তেল মজুত করে দাম বাড়িয়ে দেয়। এতে সাধারণ মানুষকে বেশি দাম দিয়ে তেল কিনতে হয়।
একই অভিযোগ করেছেন আরেক ক্রেতা মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, সাধারণত সব মুদি দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। কিন্তু এখন অধিকাংশ দোকানে তেল নেই। কোনো কোনো দোকানে পাওয়া গেলেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের টাঙ্গাইলের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, সয়াবিন তেল কোম্পানিগুলো ও ডিলারদের কারসাজির কারণেই কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। তারা অধিক মুনাফার আশায় তেল সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। তবে আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, রোববার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
আব্দুল লতিফ তালুকদার/এমবি