Logo

সারাদেশ

প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে গড়াই নদীর বালু বিক্রি

হুমকিতে আবাসন প্রকল্প, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

Icon

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৫

হুমকিতে আবাসন প্রকল্প, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা চাপড়া ইউনিয়নের সাঁওতা গ্রামের আমতলা বাজার এলাকায় গড়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অবৈধভাবে বালু বিক্রি করা হয়। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই লাখ লাখ টাকার বালি উত্তোলন ও বিক্রি চলছে। ফলে সরকারের মোটা অংকের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, সোহেল নামের এক ব্যক্তি তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে হাবাসপুর মৌজা থেকে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করছে। তাদের দাবি, এলাকায় কোনো ধরনের বৈধ বালু উত্তোলনের অনুমতি নেই। তবে কিছু স্থানীয় ব্যক্তি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এবং প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বালির ব্যবসা করছে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছিল। বর্তমান সরকারের সময়ও একই ধরনের প্রভাব বিস্তার করছে।

এক বালু বিক্রেতা জানিয়েছেন, প্রতি গাড়ি বালির দাম ২০০ টাকা। ভেকু মেশিন বাবদ ১০০ টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হয়। ট্রলি চালকদের সাথে আলাদা করে ভাড়া ঠিক করতে হয়।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমতলা বাজার সংলগ্ন গড়াই নদীর হাবাসপুর মৌজায় একটি ভেকু মেশিন রাখা আছে। এখান থেকে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলিতে বালি নিয়ে বিভিন্ন দিকে চলাচল করছে। পাশেই অবস্থিত একটি সরকারি আবাসন প্রকল্প। অবৈধ বালি উত্তোলন ও ট্রলির চলাচল চলতে থাকায় ওই আবাসন প্রকল্প হুমকির মুখে পড়েছে। পাশাপাশি এই অবাধ চলাচল শিশু শিক্ষার্থীদের জন্যও ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। তারা স্কুলে যাতায়াতের সময় যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সোহেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

  • আকরামুজ্জামান আরিফ/এমজে
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর