পটুয়াখালীর বাউফলে তেঁতুলিয়া নদীতে তরমুজবোঝাই ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় গণপিটুনিতে আহত এক ডাকাত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই ডাকাতের মৃত্যু হয়।

বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, শনিবার ভোররাতে তেঁতুলিয়া নদীর তালতলা পয়েন্টে ৭-৮ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে ১০ হাজার পিস তরমুজবোঝাই একটি ট্রলারের পিছু নেয়। ধাওয়া করে তারা ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে ট্রলারটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। ডাকাতরা ট্রলারে থাকা ৮ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।

এ সময় এক ব্যক্তি সাহসিকতার সঙ্গে এক ডাকাতকে ঝাপটে ধরে নদীতে ঝাঁপ দেন। এতে আতঙ্কিত হয়ে ডাকাত দল দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে নদীর তীরবর্তী স্থানীয়রা চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং আটক ডাকাতকে গণপিটুনি দেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

খবর পেয়ে বাউফল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ডাকাতসহ আহতদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় ডাকাতকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হওয়ায় ওই ডাকাত তার নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি। ফলে তার পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ডাকাতির ঘটনায় একজন ডাকাত গ্রেপ্তার হয়েছিল। তবে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এছাড়া ডাকাতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরিফুল ইসলাম সাগর/এমবি