খাস কালেকশনের নামে আলুর বস্তা থেকে চাঁদাবাজি

টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১৪:৪১

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল-বানারী ইউনিয়নে চাষিদের থেকে খাস কালেকশনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। আলু চাষিরা জানান, প্রতি বস্তা আলু পরিবহনের জন্য ১২ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় কৃষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রশাসনের কাছে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানালে উপজেলা প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ করে দিয়েছে।
হাসাইল-বানারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান দেওয়ানের নেতৃত্বে চাঁদাবাজির এই কর্মকাণ্ড চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, প্রতি বছর হাসাইল নদীর দক্ষিণ চরে উৎপাদিত আলু পারাপারে কিছু টাকা নেওয়া হতো। তবে এবার বস্তা প্রতি ১২ টাকা আদায় করা হচ্ছে, যা কৃষকদের জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক।
চাষিরা বলেন, “কষ্টে আলু ফলিয়ে, ট্রলার ভাড়া করে ঘাটে আনা হয়। কিন্তু সেখানে এসে চাঁদাবাজির শিকার হতে হয়। এটা আমাদের ওপর নির্যাতন। প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।”
এছাড়া একাধিক সূত্রের মতে, হাসাইল ঘাট থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হলেও সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে মাত্র ২০ হাজার টাকা। অভিযোগ উঠেছে, চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান দেওয়ান এবং ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল কাদের যোগসাজশে এই টাকা লুটপাট করছেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান দেওয়ান দাবি করেন, শ্রমিকদের জন্য বস্তা প্রতি ১০ টাকা আদায় করা হয়। তিনি খাস কালেকশনের টাকা আদায় করার দায়িত্বের কথা অস্বীকার করেন।
ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল কাদেরও জানান, তারা মাস শেষে ২০ হাজার টাকা জমা দেন। সেটি সরকারি কোষাগারে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “কৃষকদের কোনোরকম হয়রানি করা যাবে না। চাঁদা আদায় তো দূরের কথা, যেকোনো অনিয়ম হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
- নাজমুল ইসলাম পিন্টু/এমজে