ফুফুর বিরুদ্ধে অভিযোগ
ঋণের টাকা দিতে না পারায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে!

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১৪:৪৩

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় ধারের টাকা শোধ করতে না পারায় পঞ্চম শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে চল্লিশোর্ধ্ব এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন শিশুটির ফুফু জাহানারা বেগম। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে শিশুটিকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার হুমকিতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তার পরিবার।
অভিযুক্ত শিপন হাওলাদারের বাড়ি একই উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের লেমুপাড়া গ্রামে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার মাস আগে শিশুর পিতা জাহানারা বেগমের মাধ্যমে শিপনের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নেন। পরবর্তীতে টাকা শোধ করতে না পারায় তিনি আর্থিক সংকটে পড়েন এবং এলাকা ছেড়ে চলে যান। এরই মধ্যে গত এক মাস আগে জাহানারা বেগম ওই ছাত্রীকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শহরের একটি বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে ভয়ভীতি দেখিয়ে শিপনের সঙ্গে তাকে কলমা পড়ানো হয়।
পরবর্তীতে শিপন ও জাহানারা দু’দফা ওই ছাত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর বাধার মুখে তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। তবে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিপন ও জাহানারা বেগম।
এ ঘটনায় আছিয়ার মা বলেন, ‘আমার মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা আতঙ্কে আছি। আমার মেয়েকে রক্ষা করতে এলাকাবাসী ও প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।’
এলাকাবাসী জানান, শিশুটির নিরাপত্তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। এটি খুবই সংবেদনশীল একটি ঘটনা। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেব। শিশুটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
- জাকারিয়া জাহিদ/এমজে