মুন্সিগঞ্জ সদরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে স্কুলমাঠে অভিযুক্তকে আটক করে গণধোলাই দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

পরে গুরুতর অবস্থায় অভিযুক্ত আবুল হোসেনকে (৬০) উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

উত্তেজিত লোকজন হাসপাতালে বাইরে অবস্থান নেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের।

শিশুর পরিবারের অভিযোগ, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জেলা শহরের কোটগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের প্রস্তুতিমূলক অনুষ্ঠানে যায় শিশুটি। 

এ সময় শ্রেণিকক্ষ ফাঁকা থাকায় সুযোগ বুঝে স্কুলটির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে শিশুটির সাথে পাশবিক নির্যাতনের চেষ্টা চালায় স্কুলের নাইটগার্ড আবুল হোসেন। এর কিছুক্ষণ পরে স্কুলে শিক্ষকদের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় শিশুটিকে। 

বাড়ি ফিরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতেই স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভোগী শিশুটি পরিবারের সদস্যদের কাছে ঘটনাটি জানালে মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্তকে স্কুল মাঠে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে চারিদিকে শুরু হয় উত্তেজনা।

দুপুরে চিকিৎসকরা আহতকে ঢাকায় রেফার করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় সেনাবাহিনীর গাড়িতে অভিযুক্তকে নেওয়ার পথে গাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আবারও আহতকে নেওয়া হয় হাসপাতালে ভেতরে। শত শত উত্তেজিত জনতা অবস্থান করছেন হাসপাতালে। 

নিরাপত্তাজনিত কারণে অন্য রোগীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বৃদ্ধি করা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী নেওয়া হবে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা। এ ছাড়া মোতায়েন করা হয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।’

আবু সাইদ আপন/এমজে