Logo

সারাদেশ

দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

Icon

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৭:১৬

দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বেলা তিনটায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১৮ শতাংশ। চলতি মৌসুমে এটিই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী কয়েকদিন এমন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগেও চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা সহনশীল ছিল। এরপর গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) থেকে ক্রমেই বাড়তে থাকে তাপমাত্রার পারদ। ওই দিন জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পরদিন বুধবার (২৬ মার্চ) ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনের ব্যবধানে শুক্রবার (২৮ মার্চ) এ জেলার তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জেষ্ঠ্য আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা তিনটায় তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহের মধ্যে পড়ে। তিনি আরও জানান, আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা এমন থাকবে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমবে, তবে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।’

এদিকে, সূর্যের প্রখর তাপে চুয়াডাঙ্গার প্রাণ-প্রকৃতি যেন পুড়ছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের তীব্রতাও বাড়ছে। ফলে ঘরের বাইরে বেরানো কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না রোজাদাররা। এতে এক প্রকার চলাচল সীমিত হয়ে গেছে।

রিকশাচালক আব্দুল মালেক বলেন, ‘সকালের দিকে একটু ভাড়া হয়েছে। এরপর গাছের ছায়ায় বসে আছি। কড়া রোদে খুব একটা যাত্রী হচ্ছে না। এই রোদে আমার নিজেরও খুব কষ্ট হচ্ছে। তবে কিছুই করার নেই। সামনে ঈদ, এখন একটু ভাড়া না হলে পরিবার নিয়ে খুব সমস্যায় পড়ে যাব।’

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। প্রতিবছর মার্চ ও এপ্রিল মাসে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকে, যা জনজীবনে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করে।

ফেরদৌস ওয়াহিদ/এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর