ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলা

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৯:৩০

অভিযুক্ত ইমরান খান
বরগুনার আমতলীতে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ইমরান খান আমতলী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব। আর মামলার বাদী ফাতিমাতুজ জোহরা মৈতি আমতলী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের গোলাম মোস্তফার মেয়ে। তিনি আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের উপ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক।
তবে মৈতির দাবি, গত বছরের জুনে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তিনি ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমতলী পৌর শহরের পল্লবী সড়কের একে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে রিকশায় বাসায় ফেরার পথে মোটরসাইকেলে এসে ইমরান খান তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করেন এবং অপহরণের চেষ্টা করেন। এর আগে ইমরান তাকে প্রেমের প্রস্তাব ও কুপ্রস্তাব দেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় গত ১৮ মার্চ বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন ফাতিমাতুজ জোহরা মৈতি।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, মামলার বাদী মৈতি এর আগেও পারিবারিক সম্পত্তি বিরোধের জেরে তার ভাইয়ের ছেলে ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেছিলেন। তারা আরও দাবি করেন, মৈতি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক করে তার পরিবারের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছেন এবং একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাদের থেকে অর্থ নিয়েছেন।
অভিযুক্ত ইমরান খান বলেন, আমতলী উপজেলা বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত একটি গ্রুপ ষড়যন্ত্র করে এই মামলা দিয়েছে। মামলায় উল্লিখিত তারিখ ও সময়ে আমি ঢাকায় ছিলাম।
ফেসবুকে ধর্ষণের হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, আমার ফেসবুক আইডি ক্লোন করে এসব পোস্ট দেওয়া হয়েছে। আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ওসি আমাকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে বলেন।
এদিকে, মৈতি সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আমতলী উপজেলা সমন্বয়ক দাবি করে মামলার অভিযোগের সত্যতা পুনরায় তুলে ধরেন। তবে গণমাধ্যমকর্মীরা ইমরানের ঢাকায় অবস্থানের সিসিটিভি ফুটেজ প্রসঙ্গ তুললে তিনি তার মোবাইল ট্র্যাক করার অনুরোধ জানান।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ ইসলাম বলেন, ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার বিষয়ে ইমরান খান আমার সাথে ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন। তবে তার (ইমরান খান) আইডি হ্যাক হয়েছিল কি না, তা আমার জানা নেই। তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত করছেন।
খান নাইম/এটিআর