কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) রাবার বুলেটে এক ভারতীয় ‘চোরাকারবারি’ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিন সকালে উপজেলার গোরকমন্ডল সীমান্তের ৯২৯ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের ৩ নম্বর সাব পিলারের কাছে শুন্য লাইন থেকে প্রায় ২০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে মরাকুটি (ভোরাম পয়োস্তি) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধীন গোরকমন্ডল বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্তে টহল জোরদার করে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানায়।

পতাকা বৈঠকটি সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বিজিবির পক্ষ থেকে গোরকমন্ডল ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার ফিরোজ এবং বিএসএফের পক্ষ থেকে ভারবান্দা গিদালদহ ক্যাম্পের কমান্ডার গিরিশ চন্দ্র নেতৃত্ব দেন। পতাকা বৈঠকের পর সকাল ১০টার দিকে বিএসএফ নিহত চোরাকারবারির লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

নিহত জাহানুর আলম (২৪) ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার গিদালদহ এলাকার ভোরাম পয়োস্তি গ্রামের কবিদুল ইসলামের ছেলে।

সীমান্তবাসীরা জানান, সকালে একদল ভারতীয় চোরাকারবারী ওই সীমান্ত দিয়ে চোরাই মালের পোটলা নিয়ে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করলে বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে জাহানুর রাবার বুলেটের স্প্রিন্ট বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন। এ সময় বাকিরা পালিয়ে যায়। গোলাগুলির শব্দে গোটা সীমান্ত এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম জানান, বিএসএফের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ভোরে একদল ভারতীয় নাগরিক বিএসএফ পোস্টে হামলা চালায়। তখন আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে এক হামলাকারী নিহত হন।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় বাংলাদেশ বা বিজিবির কোনো সম্পর্ক নেই। বিজিবি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

ফারাজি/এমবি