ঝিনাইদহে যুবককে হত্যা, ওসির অপসারণের দাবিতে থানা ঘেরাও

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:২২
-67f247d71bf54.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
ঝিনাইদহে আবু তালেব (৩০) নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা থেকে মূল পরিকল্পনাকারীকে বাদ দেওয়ার অভিযোগে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী থানায় অবস্থান নেন এবং যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
তারা কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের অপসারণ এবং মামলায় প্রকৃত অপরাধীকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
রোববার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেঁদেপল্লীর প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ থানায় বিক্ষোভ করেন। তারা এক ঘণ্টা থানার সামনে অবস্থান নেন এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর তারা শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে যশোর-ঝিনাইদহ সড়ক অবরোধ করেন। এই সময় সড়কের দু’পাশে শতাধিক গাড়ি আটকা পড়ে, ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়। অবরোধকারীরা তিন দিনের মধ্যে ওসি অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়ে মহাসড়ক থেকে সরে যান।
জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল ভোররাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আবু তালেবকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে লোহার রডের আঘাতে হত্যা করা হয়। ওই দিনই নিহতের ভাই আব্দুল আলীম থানায় গিয়ে মামলার বাদী হন, কিন্তু এজাহারে কি লেখা আছে সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানতেন না। মামলায় রুবেল হোসেন নামে একজনকে আসামি করা হয়, যাকে ওই দিনই গ্রেফতার করা হয়।
নিহতের ভাই মোহাম্মদ আব্দুল আলীম অভিযোগ করেন, ওসি নিজেই এজাহারে একজনকে আসামি করেছেন, কিন্তু হত্যার মাস্টারমাইন্ড সেলিম নামে এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে বাদ দিয়েছেন। সেলিমের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে এবং পুলিশের অনেক সদস্য তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেন।
নিহত আবু তালেবের স্ত্রী জানেদা বেগম বলেন, ‘ওসি তার তিন সন্তানকে সন্দেহের চোখে দেখেছেন এবং বলেছেন তারা আবু তালেবের সন্তান নয়।’
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘ওসি টাকার বিনিময়ে সেলিমের নাম বাদ দিয়েছেন এবং এই ওসির অপসারণ না হলে তাদের ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব হবে না।’
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, তিনি (শহিদুল ইসলাম হাওলাদার) নড়াইলে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার কাজে আছেন এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
এম বুরহান উদ্দীন/এমআই