কিশোরীকে বিবস্ত্র করার ভিডিও ভাইরাল করায় তরুণ গ্রেপ্তার

ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৩৫

ফেনীর পরশুরামে এক কিশোরীকে বিবস্ত্র করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৬ এপ্রিল) সাইফুল ইসলাম (১৭) নামের ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মনিপুরে একটি ফাঁকা বাড়িতে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন দুই কিশোর-কিশোরী। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, ইউনিয়ন যুবদলের নেতা মেহেদী হোসেন ওই কিশোরীকে বাধ্য করে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করেন। মেহেদী হোসেন মির্জানগর ইউনিয়ন যুবদলের বর্তমান কমিটির সদস্য।
রোববার (৬ এপ্রিল) এ ঘটনার সাথে জড়িত মধ্যম মনিপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৭) নামে একজনকে ওই ঘটনার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করায় আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে, স্থানীয়রা এ ঘটনা জানতে পেরে ওই কিশোর-কিশোরীকে আটক করে উভয়ের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মধ্যস্থতায় দুই পরিবারের সম্মতিতে কিশোর-কিশোরীকে বিয়ে করে দেওয়া হয়।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই কিশোর-কিশোরীর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। যারা এসব ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছেন, তারা তোপের মুখে পড়েন। যুবদল নেতা মেহেদী হোসেন ক্ষমা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন।
মেহেদী হোসেনকে বহিষ্কার করতে দলীয়ভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ফেনী-১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনু।
পরশুরাম উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামছুল আলম শাকিল বলেন, জেলা যুবদলের কমিটিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মেহেদী হোসেনকে প্রাথমিক সদস্যসহ যুবদলের সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করতে জেলা যুবদলের কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছি।
এ ঘটনায় কিশোরীর মা আকলিমা আক্তার কয়েকজনকে আসামি করে পরশুরাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পরশুরাম মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) মাহফুজ আহমেদ ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও সঠিক তদন্তের মধ্য দিয়ে আইনের আওতায় আনা হবে।’
- এমরান পাটোয়ারী/এমজে