Logo

সারাদেশ

বৈশাখের আগেই আগাম জাতের ধান কেটে খুশি কৃষকরা

Icon

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ২১:৩৫

বৈশাখের আগেই আগাম জাতের ধান কেটে খুশি কৃষকরা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সুনামগঞ্জ জেলার কিছু সংখ্যক কৃষক এখনও নিজের পরিবারের জন্য রাতা, টেপি, খৈয়া বোর এবং বিরুণ জাতের ধান চাষ করেন। বৃহস্পতিবার থেকেই এসব জাতের ধান কাটা শুরু করেছেন তারা।

হাওরে বর্তমানে রাতা, টেপি, খৈয়া বা বিরুণ ধানের চাষ অত্যন্ত সীমিত। এসব ধান কেয়ার (তিন কেয়ার প্রতি এক একর) সাত-আট মণ ফলন দেয়। অন্যদিকে, হাইব্রিড এবং উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করলে কেয়ার প্রতি ফলন হয় ২০-২৫ মণ। এর ফলে অধিক ফলনের জন্য কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষে আগ্রহী হয়ে পড়েছেন, তবে এখনো কিছু কৃষক নিজেদের পরিবারের খাবারের জন্য ঐতিহ্যবাহী এসব ধান চাষাবাদ করে থাকেন।

সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার হাওরগুলোতে এবং তাহিরপুরের শনির হাওরে অনেক কৃষক শ্রমিক দিয়ে অথবা হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে জমিতে ধান কাটা শুরু করেছেন। বৈশাখের কয়েকদিন আগে আগাম জাতের ধান কাটতে পারায় কৃষকরা অত্যন্ত খুশি।

তাহিরপুরের শনির হাওরের কৃষক আবদুল বাতেন এবছর হাওরে প্রায় ২৫ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান আবাদ করেছেন। এর মধ্যে ২ বিঘা জমিতে ব্র্যাক ৭৭৭ জাতের ধান চাষ করেছেন। অন্যান্য ধান এখনও না পাকলেও ব্র্যাক ৭৭৭ জাতের ধান পেকেছে। এজন্য শনিবার হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটার কাজ শুরু করেছেন। আবদুল বাতেন বলেন, ‘চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময়ের ধান খুবই কাজে আসে। এই জাতের ধানের আগাম ফলন পাওয়ার ৪ বছর ধরে আবাদ করছি।’

এমনই একই এলাকার কৃষক মো. সাজু মিয়া জানান, কিছু আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে এবং তিনি উৎসাহের সঙ্গে বৈশাখের আগেই মেশিন দিয়ে ধান কেটে চলেছেন।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার সদরপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আগাম জাতের ধান—৯৫ কেটেছি। সময়মতো পানি না দেওয়ার কারণে এবং পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কিছু জমিতে পোকা ধরেছে, ফলে ফলন কমেছে। তবে, আগাম জাতের ধান হওয়ায় চৈত্র মাসের ১৯ তারিখেই ধান কাটা শুরু করতে পেরেছি। বন্যা, শিলাবৃষ্টি এবং কালবৈশাখী আসার আগেই ধান পেকে যায়।’

সদরপুর গ্রামের কৃষক ফখরুল ইসলাম ফাহিম বলেন, ‘আবহাওয়া ভালো থাকলে একসাথে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজ সহজেই শেষ করা যাবে এবং গোলায় তুলতে সুবিধা হবে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর ২ লাখ ২৩ হাজার ৫০২ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ৯ লক্ষ ১৮ হাজার মে. টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মো. আব্দুল হালিম/এআরএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর